ডিজিটাল বেঙ্গল, ফরাক্কা, ২৮ এপ্রিলঃ নলকূপ বসেছে। ভালো রাস্তা কেটে বসানো হয়েছে পাইপ বসেছে। কিন্তু বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল আজও বসেনি। কবে সেই জল মিলবে, তা জানাও নেই। ফলে হতাশার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন ফরাক্কা ব্লকের নোইনসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত মানিকনগর, দ্বীপ চাঁদপুর ও হাজারপুরা গ্রামের বাসিন্দারা।তাঁদের অভিযোগ, জল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকা নেতাদের পকেটেই গিয়েছে। তাই সেই জল প্রকল্প আর বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
গরমের মরশুম পড়তেই ফরাক্কা ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো নোইসুমপুর পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামেও জলের সংকট দেখা দেয়। সেই সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়। সেইমতো বরাদ্দ হয় টাকা। সরকারি টাকায় মানিকনগর, দ্বীপচাঁদপুর ও হাজারপুরা গ্রামের বাড়ি বাড়িতে নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা করে। তৈরি করে দেওয়া হয় জলাধার। এমনকি কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কংক্রিট নির্মিত ঢালাই রাস্তা কেটে বসানো হয় পাইপলাইন। কিন্তু এখনো জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারেনি পিএইচই দপ্তর।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সরকার মানুষের জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়ে জলের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু দুর্নীতির কারণে সেই টাকা লুঠ হয়ে যাচ্ছে। ঠিকাদার শুধু পাইপলাইন বসিয়ে দায় সারছে।তারপর থেকে আর তাঁকে দেখাও যায় না। দেখা পেলেও বলেন, আমার অধীনে যে কাজের দায়িত্ব ছিল, তা আমি করে দিয়েছি। জল পাওয়া না পাওয়া সেটা বুঝবে রাজ্য সরকারের দপ্তরের পিএইচই দপ্তর।
তাঁদের দাবি, প্রশাসনকে বারবার বললে সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না। লিখিত কমপ্লেন করা হয়েছে বিডিও ও মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনে। কিন্তু কোনো সদুত্তর মেলেনি। জলকষ্ট দূর করার দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি একাধিকবার। কিন্তু তাতেও ফল হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আমরা দারুণ কষ্টের মধ্যে আছি। টিউবঅয়েলে জল ওঠে না। ইঁদারাতেও জল নেই। ট্যাঙ্কি রয়েছে। কিন্তু জল না থাকলে তা কীভাবে জমিয়ে রাখব। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা মেটানো না হলে আমরা আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।
amoxil cheap – https://combamoxi.com/ purchase amoxil online
forcan pill – https://gpdifluca.com/ buy diflucan 200mg for sale