ওয়েব ডেস্ক, ডিজিটাল বেঙ্গল, ২৮ এপ্রিল— কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর থেকে দুই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈদেশিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। এর মধ্যে ২৫ জনই পর্যটক। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর–ই–তৈবার সহযোগী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উত্তাল পুরো কাশ্মীর। প্রত্যাঘাত চাইছে দেশবাসী। ভারতীয় সেনাবাহিনীও যোগ্য জবাব দিয়ে চলেছে।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এছাড়াও দেশের স্বার্থে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিন্ধুর জলবন্টন চুক্তি বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেও আপাতত ভারত কিছুটা নরম মনোভাব নিয়েছে। কিন্তু জঙ্গিদের যেকোনোমতেই রেয়াত করা হবে না স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জঙ্গিদমনে সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন বিরোধীরাও। এরই মধ্যে রবিবার রাতেও ভারতের মাটি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনা। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আজ সোমবার ১২টা নাগাদ ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজনাথ সিং।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সঙ্গে ছিলেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান। এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ফের আজ বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদি ও রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। এদিকে মেডিকেল ভিসা নিয়ে যেসব পাকিস্তানি ভারতে এসেছিলেন, তাঁদের ফিরতে হবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে। তারপরেই কি ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আঘাত হানবে, এমন জল্পনা ছড়িয়েছে।
এদিকে রবিবার রাতেও ভারতের মাটি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনা। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কুপওয়ারা এবং পুঞ্চ এলাকায় ওই গুলি চলে। ভারতের সেনার দাবি, গত কয়েকদিনে মতই রবিবার রাতে এবং সোমবার ভোররাতেও বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।