ডিজিটাল বেঙ্গল, সামশেরগঞ্জ, ৭ মেঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের পরেই সামসেরগঞ্জের বেদবোনা গ্রামে বসল নতুন পুলিশ ক্যাম্প (Police Camp)! এই প্রথম শুধুমাত্র একটি গ্রামীণ এলাকা্য বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী ও আধিকারিক নিয়ে এই পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা। বেদবোনা পুলিশ ক্যাম্পে এই মুহূর্তে জরুরী ভিত্তিতে ছয়জন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও ১৯ জন ফোর্স সহ মোট ২৭ জন ফোর্স থাকছে ক্যাম্পে।সামসেরগঞ্জ থানার তত্বাবধানে থাকলেও বিশেষভাবে গ্রামের মানুষদের জন্যই খোলা হয়েছে এই পুলিশ ক্যাম্প। নবগঠিত বেদবোনা পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ করা হয়েছে সাব ইন্সপেক্টর মিঠুন হালদারকে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই বেদবোনা গ্রামে শুরু হচ্ছে এই পুলিশ ক্যাম্প। স্থায়ীভাবে গ্রামে বসিয়ে দেওয়া হলো এই পুলিশ ক্যাম্প। উদ্বোধনী পর্বে মিষ্টি মুখ করানো হয় সকলকে। উপস্থিত ছিলেন সামসেরগঞ্জ থানার আইসি সুব্রত ঘোষ সহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।
মুরশিদ্শিদাবাদ সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারেই মঙ্গলবারেই সামশেরগঞ্জে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হওয়া বাবা ও ছেলের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সোমবার রাতেই পরিবারের সকলকে বিজেপি কলকাতায় নিয়ে চলে যায়। সেখানে এই জোড়াখুন মামলার সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই পরিবারটিকে অপহরণ করে বিজেপি চূড়ান্ত নোংরামির পরিচয় দিয়েছে।নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা না হলেও মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গিপুর, ধূলিয়ান, সামশেরগঞ্জের বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে।
পরে মুখ্যমন্ত্রী একটি সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেন। বলেন, এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হতে হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে মুখ্যমন্ত্রী সাধ্যমতো সাহায্য তুলে দেন। প্রতিটি পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নগদ দেওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু মহিলাকে সেলাই মেশিন সহ অন্য উপকরণ তুলে দেন।