ডিজিটাল বেঙ্গল, ওয়েব ডেস্ক, ৭ মেঃ এই হল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। জাতীয়তাবাদ ও আবেগে কীভাবে নাড়া দিতে হয় সম্ভবত অতীতে আর কোনও সরকার তা এত সুকৌশলে করতে পারেনি। বুধবার ভোর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তার নাম রাখা হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। পহেলগামে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে যেভাবে জঙ্গিরা ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং তাঁদের স্ত্রীর সিঁদুর মুছে দিয়েছে, এই অপারেশন ছিল তারই বদলা। পরে কৌশলগত ভাবে দুই মহিলা অফিসারকে দিয়ে সেই অভিযানের ব্রিফিং করাল সাউথ ব্লক— কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বরাবরই সীমানা অতিক্রম করেছেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে নজিরবিহীন সব সম্মান অর্জন করেছেন তিনি। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে, তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা অফিসার হিসেবে বহুজাতিক সামরিক অনুশীলন Exercise Force 18-এ ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। পুণেতে আয়োজিত এই মহড়ায় অংশ নেয় ১৮টি দেশ, যার মধ্যে ছিল জাপান, চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রমুখ।
এই অনুশীলনে কর্নেল কুরেশি ৪০ সদস্যের ভারতীয় দলের কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রশিক্ষণ চলে শান্তিরক্ষার কৌশল এবং হিউম্যানিটারিয়ান মাইন অ্যাকশনের ওপর।কর্নেল সোফিয়া কুরেশি কঙ্গোতে ২০০৬ সালে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মিলিটারি অবজারভার হিসেবে কাজ করেন এবং ২০১০ সাল থেকে এই ক্ষেত্রে নিরন্তর কাজ করছেন। সেনাবাহিনীর প্রতি সোফিয়ার ভালোবাসা তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে উৎসারিত। সোফিয়ার দাদু সেনার বাহিনীতে ছিলেন এবং তাঁর স্বামী মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রির একজন অফিসার।ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বরাবরই সীমানা অতিক্রম করেছেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে নজিরবিহীন সব সম্মান অর্জন করেছেন তিনি। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে, তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা অফিসার হিসেবে বহুজাতিক সামরিক অনুশীলন Exercise Force 18-এ ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। পুণেতে আয়োজিত এই মহড়ায় অংশ নেয় ১৮টি দেশ, যার মধ্যে ছিল জাপান, চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রমুখ। এই অনুশীলনে কর্নেল কুরেশি ৪০ সদস্যের ভারতীয় দলের কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রশিক্ষণ চলে শান্তিরক্ষার কৌশল এবং হিউম্যানিটারিয়ান মাইন অ্যাকশনের ওপর।কর্নেল সোফিয়া কুরেশি কঙ্গোতে ২০০৬ সালে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মিলিটারি অবজারভার হিসেবে কাজ করেন এবং ২০১০ সাল থেকে এই ক্ষেত্রে নিরন্তর কাজ করছেন। সেনাবাহিনীর প্রতি সোফিয়ার ভালোবাসা তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে উৎসারিত। সোফিয়ার দাদু সেনার বাহিনীতে ছিলেন এবং তাঁর স্বামী মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রির একজন অফিসার।
উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহের সামগ্রিক সার্ভিস লাইফ সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি, তবু এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর উপস্থিতি নজর কাড়ে। বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রিও ছিলেন। বিক্রম কাশ্মীরি পণ্ডিত। দুঁদে কূটনীতিক। তাঁর কেরিয়ারে দীর্ঘ সময় তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন বিক্রম। পরে মনমোহন সিংয়ের ব্যক্তিগত সচিব হয়েছিলেন। বিদেশ সচিব পদে উন্নীত হওয়ার আগে চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন বিক্রম।ব্যোমিকা সিংয়ের বায়ুসেনায় আসার যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর ছোটবেলার একটি স্বপ্ন থেকে। স্কুলজীবন থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিল আকাশে ওড়ার। তাঁর নাম ‘ব্যোমিকা’-র অর্থও আকাশের সঙ্গে যুক্ত, আর সেই নাম যেন আরও দৃঢ় করে দিয়েছিল তাঁর আকাঙ্ক্ষাকে। ছোটবেলার সেই স্বপ্নই একদিন বাস্তব রূপ নেয়, যখন তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার এক যুদ্ধবিমানচালক হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তোলেন।
স্কুলের পড়াশুনার সময়েই ব্যোমিকা ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরে (এনসিসি) যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করেন। তাঁর পরিবারে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। ভারতীয় বায়ুসেনায় হেলিকপ্টার চালক হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন ব্যোমিকা এবং ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফ্লাইং ব্রাঞ্চে স্থায়ী কমিশন লাভ করেন।