Sealdah-Lalgola মিলন সরকার, মুর্শিদাবাদ, ২২ মেঃ মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার গাইসালে রেলের ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনা এখনো টাটকা। এরই মধ্যে ফের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদা-লালগোলাগামী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে রেলের একটি বগির ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ে।দুটি ইলেকট্রিক তারের সংস্পর্শে আসায় হঠাত করে ওই ডালে আগুন ধরে যায়। চালকের তৎপরতায় যাত্রীবাহী ওই ট্রেনের ক্ষতি হয়নি।তবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। জানা যায়, বুধবার রাতে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে শিয়ালদাগামী লালগোলা প্যসেঞ্জার রেজিনগর ছাড়ার জানপুর রেলগেটের কাছে আসতেই বিপত্তির মধ্যে পড়ে।ঝড়বৃষ্টির কারণে ইলেকট্রিক লাইনের তার ছিঁড়ে গাছের ডালে পড়লে সেই ডালে আগুন ধরে যায়। এরপরেই গাছের ডালটি রেলের একটি কামরার ছাদে পড়ে।বিষয়টি নজরে আসতেই চালক তড়িঘড়ি ট্রেন থামিয়ে দেন।তবুও দুটি বগি ক্রস হয়ে যায়।এই অবস্থায় যাত্রীরা আতঙ্কে ট্রেন থকে নামতে শুরু করেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী নিয়ে ছুটে আসেন ডিএসপি আনন্দ মণ্ডল ও রেজিনগর থানার আইসি উৎপল দাস। পুলিশের হস্তক্ষেপে যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও কোনো যাত্রী যাতে আতঙ্কিত না হন, তার জন্য পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার করা হয়।দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে রেললাইনের তারের ফায়ার ক্রসিং ঠিক করেন। এরপরেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
রেজিনগর থানার পুলিশ জানায়,প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে হঠাত করে ট্রেনের বগির ছাদে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে আগুন ধরে যাওয়ায় বড়সড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তবে চালকের তৎপরতা ও উপস্থিত বুদ্ধির জন্য যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছেন। রেলের যাত্রীদের উদ্ধার করে আমরা সড়কপথে ট্রাকে চাপিয়ে বাড়ি ফেরতের ব্যবস্থা করে দিই।
টেনের এক যাত্রী জানান, আমি লালগোলা থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। কিন্তু জানপুর রেলগেটের কাছে আসতেই ট্রেনের ছাদে আগুন দেখতে পাই। চালক ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিলেন। বৃষ্টির মধ্যেই আমরা ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। এরপর পুলিশ এসে আমাদের বাড়ি ফেরতের ব্যবস্থা করে দেয়।
prime minister প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা