সুমিত ঘোষ, মালদা ২৮ এপ্রিল : নৃশংস ঘটনার সাক্ষী মালদার গাজোল।পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রী ও ছেলেকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।গুরুতর জখম স্ত্রী ও ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোলের মাঝড়া অঞ্চলের শরতপল্লি এলাকায়।ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত বধূর নাম মন্টি বর্মণ। বয়স প্রায় ৩২ বছর। এছাড়াও আক্রান্ত ছেলে ১৪ বছরের প্রণব বর্মণ। গাজোল ব্লকের মাঝড়া অঞ্চলের শরতপল্লি এলাকায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছুদিন ধরেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কোনো কারণে ঝামেলা চলছে।রবিবার তাঁদের দাম্পত্য কলহ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। সেইসময় ওই মহিলার স্বামী হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় ১৪ বছরের কিশোর ছেলেকেও। তাঁদের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী।
ঘটনার পর এলাকাবাসী জখম ওই গৃহবধূ ও তাঁর ছেলেকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যান গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুজনকেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঘটনার পরই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গাজোল থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।