ডিজিটাল বেঙ্গল আলিপুরদুয়ার, ৩০ এপ্রিলঃ বিয়ের মাত্র সাতদিন কেটেছে। এরই মধ্যে মাদক পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। টোটোতে করে ব্রাউন সুগার নিয়ে যাওয়ার সময় আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা থানার পুলিশ।
পাত্র টোটো চালক। আয় যা হয় তা দিয়ে দিব্যি সংসার চলবে। সেটা ভেবেই ফালাকাটার বাসিন্দা ভজন রায়ের সঙ্গে বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিল কনের পরিবার। সপ্তাহখানেক আগে বিয়েও হয়ে যায় দুজনের। কিন্তু গা থেকে বিয়ের গন্ধ যেতে না যেতেই সামনে চলে এল টোটোচালক পাত্র ভজনের আসল পেশা। সোমবার রাতে ব্রাউন সুগার সমেত হাতেনাতে ধরা পড়ল ওই যুবক। তার সঙ্গে অবশ্য আরেক যুবকও ধরা পড়ে। তার নাম মনোজ গিরি। এদের দু’জনের বাড়িই ফালাকাটা শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সোমবার অনেক রাতে ব্রাউন সুগারের পুরিয়ার কারবার করার সময় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে ফালাকাটা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ফালাকাটায় ব্রাউন সুগার বিক্রির ধরণ বদলেছে পাচারকারীরা। আগে বড় বড় প্যাকেটে ব্রাউন সুগার বিক্রি হত। বিভিন্ন ধাবা, হোটেলে বসেই ব্রাউন সুগারে নেশা করা যেত। কারবারিরা সেখানে তা পৌছে দিত। এতে ধরা পড়ার সুযোগ থাকত। কিন্তু এখন আর বড় প্যাকেটে নয়, পুরিয়া আকারে খদ্দেরদের হাতে তা পৌঁছে দিচ্ছে কারবারিরা। এই অবৈধ কারবার করছে শহরেরই কিছু যুবক। বিষয়টি কানে আসতেই গত কয়েকদিন ধরেই নজরদারি বাড়ায় পুলিশ। সোমবার রাতেও তারা নজরদারি করছিল। এমন সময় খবর আসে বড়ডোবার একটি স্কুলের মাঠে দুই যুবক ব্রাউন সুগার বিক্রির জন্য জড়ো হয়েছে। সেখানেই হানা দেয় পুলিশ। মাঠে ব্রাউন সুগারের পুরিয়া বিক্রির আগেই একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই যুবকের মধ্যে ভজন রায়ের বাড়ি ফালাকাটা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নৃপেন মিত্র কলোনীতে এবং মনোজ গিরির বাড়ি একই ওয়ার্ডের বাবুপাড়াতে।
জয়গাঁর এসডিপিও প্রশান্ত দেবনাথ বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল ব্রাউন সুগার পুরিয়া করে বিক্রি হচ্ছে ফালাকাটা শহরে। তাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা বড়ডোবা থেকে দুই যুবকে গ্রেপ্তার করি। দু’জনের কাছ থেকেই ১২ গ্রাম করে মোট ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আদালতে তাদের পুলিশি হেপাজত চাওয়া হচ্ছে।’