ডিজিটাল বেঙ্গল, মালদা, ১৬ মে : রামকেলি মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল মালদা জেলা প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলাশাসক নিতিন সিঙ্হানিয়া, জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন সহ আরো অনেকে। সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করার জন্য কি কি উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
উল্লেখ্য সালটা ছিল ১৫১৪। মালদা জেলায় হাজির হয়েছিলেন এক নবীন সন্ন্যাসী। তরুণকান্তি ওই সন্ন্যাসী কৃষ্ণনামের বন্যায় সারা জেলাকে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। অগণিত মানুষ তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এমনকি তৎকালীন বাংলার শাসক হুসেন শাহের দুই সভাসদ আমির খাস ও দবির খাস নিজেদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হন।তাঁদের নাম হয় রুপ গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামী। রামকেলির একটি কদম্ব বৃক্ষতলে বিশ্রাম নিয়েছিলেন বৈষ্ণব ধর্মের এই অন্যতম প্রবক্তা মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য। তাঁর জেলা আগমনকে স্মরণ করেই প্রতিবছর জৈষ্ঠ মাসে দেশ বিদেশের ভক্তরা রামকালীতে মিলিত হন।
এবছর ১৫ জুন থেকে শুরু হবে মেলা। সরকারি নিয়মে ১৫ দিন চললেও বেসরকারিভাবে এক মাসের বেশি সময় ধরে রামকেলিতে চলতে থাকে মেলা। মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের পদচিহ্ন ও যে কদম্ববৃক্ষের নিচে তিনি বিশ্রাম নিয়েছিলেন, সেই স্মৃতি আজও বর্তমান। আর তা দেখতেই শুধু মালদা জেলা নয়, দেশ বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মানুষ রামকেলিতে ভিড় জমান। এই অসংখ্য মানুষের ভিড় সামাল দিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়,তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মালদা জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, এবছর 15 জুন থেকে রামকেলিতে মেলা শুরু হবে। প্রশাসনের তরফে মেলায় আগত ভক্তদের জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টিও নজরে রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রামকেলি মেলার সঙ্গে মালদার আবেগ জড়িত। তাই এই মেলাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা আমাদের কর্তব্য। মেলায় আগত ভক্ত ও সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Gourbanga University | মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরেও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি সমাবর্তন