syed-mashrur-ahmed-kalimi মধ্যবঙ্গে ইসলামিক শিক্ষার অগ্রদূত। কুসংস্কারের অন্ধকার ভেদ করে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছিলেন পীর সৈয়দ মাশরুর আহমেদ কালিমি
কালিয়াচাকঃ একসময় মধ্যবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শিক্ষার অভাব ও কুসংস্কারের আধিপত্য ছিল প্রবল। বিশেষ করে মুসলিম সমাজের একটি বড় অংশ ইসলামি শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ঠিক সেই সময় বাংলার আকাশে সূর্যের মতো উদিত হয়েছিলেন মহান সুফি পীর সৈয়দ মাশরুর আহমেদ কালিমি চিশতি। তিনি সমাজকে অশিক্ষা ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত করে শিক্ষিত, সচেতন ও প্রগতিশীল করে তুলতে আজীবন চেষ্টা চালিয়েছেন।
মধ্যবঙ্গে ইসলামিক শিক্ষার অগ্রদূত < ভিডিও>
কালিয়াচক, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও দুই দিনাজপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ছিল শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়া। মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে ইসলামি শিক্ষার বিস্তার ও আধুনিক শিক্ষার প্রচলনে বিশেষ উদ্যোগ নেন কালিমি চিশতি সাহেব। তাঁর প্রচেষ্টায় কালিয়াচক সহ বহু এলাকায় একের পর এক খারিজি মাদ্রাসা গড়ে ওঠে।
তবে তিনি শুধু ধর্মীয় শিক্ষায় সমাজকে আবদ্ধ রাখতে চাননি। বরং খারিজি মাদ্রাসাগুলিতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক পাঠ্যক্রম চালু করেন। এই উদ্যোগে এগিয়ে আসে বহু সমাজসচেতন মানুষও। ফলে একদিকে যেমন ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়, অন্যদিকে আধুনিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে থাকে পিছিয়ে পড়া সমাজ।
সুফি পীর সৈয়দ মাশরুর আহমেদ কালিমি >ভিডিও<
সমাজে তখন অন্ধবিশ্বাস ও নানা কুসংস্কারের প্রভাব ছিল প্রবল। পীর সৈয়দ মাশরুর আহমেদ কালিমি চিশতির অক্লান্ত পরিশ্রমে সেই অন্ধকার কেটে গিয়ে নতুন প্রজন্ম আলোর পথ দেখতে শুরু করে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন— শিক্ষা ছাড়া কোনও জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। তাই তিনি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞানের আলো ও নীতিশিক্ষাকে সমান গুরুত্ব দেন।
বর্তমানে তাঁর অনুপ্রেরণায় সারা রাজ্যেই খারিজি মাদ্রাসাগুলি বিস্তার লাভ করেছে। এখানে পড়ুয়ারা যেমন ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করছে, তেমনি আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমেও গড়ে উঠছে প্রকৃত মানুষ হিসেবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো আজও ধর্ম, নীতি ও শিক্ষার সংমিশ্রণে সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করছে।
‘Maldar Digha’ Bhatra Beel ‘মালদার দিঘা’ ভাটরা বিল, বর্ষার জলে ছোট্ট সমুদ্র
অশিক্ষা ও কুসংস্কারের আঁধারে তলিয়ে থাকা সমাজে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিয়ে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন পীর সৈয়দ মাশরুর আহমেদ কালিমি চিশতি। তাঁর প্রচেষ্টায় বদলেছে কালিয়াচক সহ সমগ্র মধ্যবঙ্গের সামাজিক ছবি। আজও তাঁর অগণিত অনুগামী মনে করেন— কালিমি সাহেবের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়নি। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠনের যে বার্তা তিনি দিয়েছিলেন, সেটাই আজকের প্রজন্মের জন্য এক অমূল্য দিশারী। syed-mashrur-ahmed-kalimi
weight loss supplement
8tykgs