পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

Bomb explosion in abandoned house

ডিজিটাল বেঙ্গল, গঙ্গারামপুর, ২৬ এপ্রিল–: ভোট আসতে এখনও বাকি এক বছরের বেশি সময়। কিন্তু তার আগেই হিংসার আবহ রাজ্যজুড়ে। প্রায়দিন উদ্ধার হচ্ছে বোমা বন্দুক। গত এক মাসে কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ বোমা। পাওয়া গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। এমনকি রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ হারাতে হয়েছে একাধিক মানুষকে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। তাই অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ভোট করা উচিত। কিন্তু সেই দাবি ধোপে টেকেনি।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল গঙ্গারামপুরে। শুক্রবার দুপুরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আচমকাই ফেটে যায় একটি বোমা(B0MB)। গতকালের সেই ঘটনার জেরে আজও আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রামের এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর রেলগেট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বিজয় মজুমদার প্রায় বছর খানেক আগে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে নন্দনপুরের বাড়ি ছেড়ে ঠ্যাঙাপাড়ায় চলে যান। তারপর থেকেই পরিত্যক্ত  অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাড়িটি। এদিন দুপুরে হঠাৎ পরিত্যক্ত বাড়িটি বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে।  ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘটনার খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক(SDPO) দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য ও গঙ্গারামপুর থানার আইসি(IC) শান্তনু মিত্রের নেতৃত্বে  বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। নামানো হয় র‍্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। বাড়িটি ঘিরে ফেলে শুরু হয় চিরুনী তল্লাশি।  ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নুমনা সংগ্রহ করে, খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘একটি আওয়াজ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটি ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে মাঝেমধ্যে সমাজবিরোধীদের আখড়াও বসে। বসে জুয়ার আসর। কিন্তু বাড়ির মালিক পুলিশ প্রশাসনে কোনো অভিযোগ না করায় পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। মনে করা হচ্ছে, এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য দুষ্কৃতীদের কেউ বা কারা বোমা মজুদ করে রেখেছিল। অসতর্কতাবশত সেই বোমা ফেটে গিয়েছে। তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষজন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা পুলিশি টহলদারির দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *