ডিজিটাল বেঙ্গল, কোচবিহার, ৩১ মেঃ কোচবিহারে সিপিএমের কর্মীসভায় অংশ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তোপ দাগলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তাঁকে কটাক্ষ (Sarcasm) করে সেলিম বলেন, উত্তরবঙ্গের চা শিল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় বড় ভাষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কোনও কাজ করেননি। চা শিল্প ধুঁকছে। চা বাগানের কর্মীরা দুর্দশায় রয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুধুই আত্মপ্রচার করতে ব্যস্ত।
শনিবার কোচবিহারের পঞ্চানন ভবনে সিপিএমের কর্মীসভা হয়। কর্মীসভার জায়গা নিয়ে এদিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ শানান দলের জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়। তিনি বলেন, আমরা রবীন্দ্র ভবনে কর্মীসভা করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু রবীন্দ্র ভবন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও আমাদের ভাড়া দেওয়া হল না। বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় কর্মীসভা করতে হচ্ছে। প্রশাসন এখন তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে।
এদিন কর্মীসভা শুরুর আগে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মহম্মদ সেলিম। সীমান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে এত নিরাপত্তা। তার পরেও এসব কেন হচ্ছে? বিএসএফ, পুলিশ কী করছে? তাদের দায়িত্ব নিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক স্তরে মাদক পাচারের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সেলিম। তাঁর বক্তব্য, কোচবিহারের অসম সীমানা দিয়ে বহু মাদক পাচার হয়। যার ভাগা অসমের বিজেপি নেতা ও এরাজ্যের তৃণমূল নেতাদের হাতে পৌঁছায়। তাই বহালতবিয়তে পাচার চলে।
মোদির উত্তরবঙ্গ সফরকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সেলিম। তাঁর কথায়, ভোট এলে প্রধানমন্ত্রী এখানকার পর্যটন, বিমানবন্দর, রেল, শিল্প নিয়ে অনেক টোপ দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় দুই সরকারই দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে।
চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকার যোগ্যদের পাশে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের পাশে থাকার কথা বলেছেন, অথচ তিনি অযোগ্যদের প্রোমোট করেন।