House | নয়ানজুলি ভরাট করেই তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর

House

ডিজিটাল বেঙ্গল, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৪ মেঃ কথাতেই আছে চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে মাস কয়েক আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন জলাভূমি ভরাট বন্ধ করা রুখতে। কথা না শুনলে প্রশাসনকে কঠোর হাতে সমস্যা মোকাবিলা করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। এমনকি নিয়ম না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কথাকে কার্যত কানেই তুলছেন না একশ্রেণির জমি মাফিয়া। জমির চরিত্র পরিবর্তন করে রাতারাতি জলাজমি ভরাট করে তা প্লট করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।শাসকদল ও প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশে এই কাজ রাজ্যজুড়েই চলছে রমরমিয়ে।সবকিছু দেখেও প্রশাসনের আধিকারিকরা চোখে কাপড় বেঁধে বসে রয়েছেন বলে অভিযোগ। আর তাঁদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে রাজ্যজুড়েই চলছে অবাধে জলাজমি ভরাটের মতো বেআইনি কাজ।

প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়েই  দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ও কাকদ্বীপ থানার নতুন নাস্তা গঙ্গাধরপুর রোডের পাশেই নয়জুলিতে অবাধে তৈরি হচ্ছে বেশকিছু পাকা বাড়ি। মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে জল নিকাশির নালা।রাতের অন্ধকার নয়, একেবারে দিনের আলোয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অবজ্ঞা করে এই ভরাট চলছে। কিন্তু সব দেখেও যেন কোনো এক অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে কর্মীদের চোখে পড়ছে না এই ঘটনা। ওই রোডের সাইকেল মোড় সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার ধারের গাছ কেটে পুকুর ও নয়নজুলি  ভরাট শুরু করেছেন এক আইসিডিএস কর্মী পারুল দাস, তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মাটি ফেলার বরাত যাকে দেওয়া হয়েছে, তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছে। অবশ্য প্রশাসন জানার পর কাজ বন্ধ করে দেয়।কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই  আবারো নয়ানজুলি ভরাট করে তার ওপর গড়ে উঠেছে একটি পাকা ঘর।এই ঘর করার জন্যও নাকি প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ঘরের মালিকের।

এখন প্রশ্ন উঠছে কোন প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন। এই প্রশাসন কে? যিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনুমতি দিচ্ছেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

আশ্চর্যজনক প্রতিক্রিয়া স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের। তাঁর কথায়,এগুলো নয়নজুলি নয়। সরকারি জায়গাও নয়।রোডের উপর তো আর ঘর করছে না। ঘর করা বৈধ।

Mamata Banerjee: রাজ্যে এবার গড়ে উঠতে চলেছে ‘বিশ্ব অঙ্গন’, কী কী থাকবে এই বিশ্বমানের পার্কে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *