Erosion | মানিকচকে ভাঙনরোধের কাজে অসন্তোষ সাংসদ ইশা খানের

Isha Khan | Erosion

ডিজিটাল বেঙ্গল, মানিকচক, মালদা, ১৪ মেঃ মানিকচকে ডাউন্সট্রিমের পরিবর্তে আপার স্ট্রিম থেকে কাজ শুরু করা গেলে বর্ষার মরশুমে ভাঙন ও বন্যার প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা যাবে। বুধবার মানিকচকের ভাঙনপীড়িত এলাকার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এমন দাবি জানালেন মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। এদিন তিনি স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মানিকচকের ভাঙন ও বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন।

দীর্ঘদিন থেকেই গঙ্গাভাঙনের শিকার মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকা। কয়েক দশকে বহু জনপদ, কৃষিজমি, আমবাগান তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে।আশ্রয়হীন হয়েছেন অগণিত মানুষ। ভাঙন ও বর্ষার মরশুমে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করলে অস্থায়ী ভিত্তিতে কোনোরকমে পরিস্থিতি শামাল দেওয়া হয়।কিন্তু স্থায়ীভাবে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারকে। সাধারণ মানুষ যখন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন, তখন কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে চলতে থাকে অভিযোগ পালটা অভিযোগের খেলা। নদীতে সবকিছু চলে যাওয়ার পর নেতারা গিয়ে সহানুভূতি জানান। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিতে কাউকেই দেখা যায় না। প্রায় প্রতিবছর ভাঙনরোধের নামে গঙ্গায় একপ্রকার বিসর্জন দেওয়া হয়। ফলে নদীর আগ্রাসী রূপের কোনো পরিবর্তন হয় না।বারবার বাস্তুচ্যুত হতে হয় নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।অনেকে স্থায়ী আস্তানা জোগাড় করতে না পেরে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নেন। গতবছরেও মানিকচকের অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে বন্যার কবলে পড়তে হয়েছিল লক্ষাধিক মানুষকে।

এবারে যাতে সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয়,তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।সেই টাকা দিয়েই নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে। মানিকচকের কামালতিটোলা থেকে সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই বুধবার মানিকচকের নদীপাড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন সাংসদ ইশা খান চৌধুরী।কথা বলেন এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

তবে কাজের মান নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ও দাবি তুলেছেন সাংসদ ইশা খান। তিনি জানান, কামালতিপুরে মসজিদের জায়গায় যে কাজ হচ্ছে, তা ঠিকই রয়েছে। তবে আমার দাবি, গঙ্গার ডাউনস্ট্রিমের পরিবর্তে আপার স্ট্রিম থেকে কাজ করা হোক।কারণ, আপার স্ট্রিমে নদীর বাঁধ যদি শক্তিশালী থাকে তবে ওপর থেকে জল নেমে এসে নীচের অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। কিন্তু ডাউন স্ট্রিমে কাজ করা হলে সেই কাজ দিয়ে নদীর ওপরের গতির প্রবাহ রোখা যাবে না।এতে শুধু টাকা নষ্ট হবে। এছাড়াও কামালতিপুরে কাজ করার পর প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বেঁচে গিয়েছে। আমি তাই জেলা প্রশাসন, রাজ্যের সেচমন্ত্রী সহ সরকারের কাছে দাবি জানাব, আর কিছু টাকা মঞ্জুর করে বাকি কাজটুকুও সম্পূর্ণ করে দেওয়া হোক। এতে আগামী বন্যার মরশুমে আর এলাহিটোলার মতো এলাকাগুলি প্লাবিত হবে না। ফলে বর্ষার সময় আর আতঙ্কের মধ্যে সাধারণ মানুষকে দিন কাটাতে হবে না।

Mamata Banerjee: রাজ্যে এবার গড়ে উঠতে চলেছে ‘বিশ্ব অঙ্গন’, কী কী থাকবে এই বিশ্বমানের পার্কে?

2 thoughts on “Erosion | মানিকচকে ভাঙনরোধের কাজে অসন্তোষ সাংসদ ইশা খানের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *