Fugitive | হাসিনাকে পলাতক ঘোষণা করে বিচার শুরু করবে বাংলাদেশ সরকার

Fugitive | Hasina

ডিজিটাল বেঙ্গল, ওয়েব ডেস্ক, ৩০ মেঃ বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনাকে পলাতক (Fugitive) ঘোষণা করে তাঁর বিচার শুরু করবে ইউনুস সরকার। কুরবানির ইদের পরেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানিয়েছেন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সরকারি আইনজীবী তাজুল ইসলাম। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম মামলায় হাসিনা ছাড়াও বিচার শুরু হবে সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনেরও।

ট্রাইব্যুনাল সুত্রে জানা গিয়েছে, হাসিনার বিচার পর্ব লাইভ টেলিকাস্ট এই বিচার প্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ সরকার। গোটা বিশ্ব যাতে শুনানি পর্যবেক্ষণ করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার সব দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্মগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে বিচার কাজ প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

হাসিনা ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী প্রমাণ করতেই বিশ্ব জুড়ে শুনানি সম্প্রচার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে শুনানিতে হাতিয়ার করতে চলেছে ইউনুস সরকার। বিচার শেষে আওয়ামী লিগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণার চেষ্টা হতে পারে। তার আগে বিশ্ব জনমত তৈরিও লক্ষ্য সরকারের।

শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পুলিশ প্রধান কোথায় আছেন সরকারের কাছে সে তথ্য নেই। ঢাকায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তদের বাড়ির ঠিকানায় নোটিস পাঠানো হবে। তাঁরা নোটিসের জবাব না দিলে তাঁদের নামে দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

ট্রাইব্যুনাল সুত্র জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ‘পলাতক’ ঘোষিত অভিযুক্তকেও সরকার আইনজীবী দেবে। সেই আইনজীবী অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়বেন। তবে শেখ হাসিনা সহ অভিযুক্তরা নিজেরাও আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। শেখ হাসিনার হয়ে মামলা লড়ার কথা নিজে থেকে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের  আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তবে হাসিনার লিখিত সম্মতি ছাড়া তিনি মামলা লড়তে পারবেন না৷

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তরা মামলায় অংশ নেবেন কিনা। হাসিনা দলের ফেসবুক পেজের ভাষণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েই আপত্তি তুলেছেন। আওয়ামী লিগ নেতারাও নানা সময় ট্রাইব্যুনাল বয়কটের কথা বলেছেন। তবে সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি দল।

হাসিনা সহ তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সবগুলিই হত্যা, হিংসা সম্পর্কিত। মামলায় হাসিনাকে জুলাই-অগাস্ট আন্দোলন দমনে ‘মাস্টারমাইন্ড’, ‘হুকুমদাতা’ ও ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ বলে  উল্লেখ করা হয়েছে।

Sabhapati | তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের বানচাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *