ডিজিটাল বেঙ্গল, কালিয়াচক, ১০ এপ্রিল— বাম জমানায় প্রায় অশান্ত থাকত কালিয়াচকের মোজমপুর।বেআইনি প্রায় সমস্ত কারবার থেকে চুরি,ছিনতাই,খুনের মতো ঘটনা ছিল প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। ফলে মানুষ আশা করেছিলেন, এবার হয়তো শান্তি ফিরবে মোজমপুরে।কিন্তু সে গুড়ে বালি। একসময় যারা সিপিএমের ছত্রছায়ায় থেকে অপরাধমূল্ক কাজ করে গিয়েছে, তারাই রাতারাতি দল বদলে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নেয়। এলাকা দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী জড়িয়ে পড়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এর খেসারতে গিয়েছে বহু প্রাণ। মাস কয়েক আগেও শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে একজনের প্রাণ গিয়েছে। এরপরেই পুলিশ প্রশাসন শক্ত হাতে রাশ ধরলে তৃণমূল আশ্রিত বেশকিছু দুষ্কৃতী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আজও তারা ঘরে ফিরতে পারেনি। বাইরে থেকে তারা ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
মাস কয়েক শান্ত থাকার পর বুধবার থেকে ফের দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। বুধবার রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী কালিয়াচক ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রয়াত সভাপতি তসলিমা খাতুনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। হাজির হয় দমকল। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে যায় বাড়িটি।বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আজ কালিয়াচক থানায় তসলিমা খাতুনের স্বামী তারেক আলি বিশ্বাসের দিদি মোট ১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা প্রত্যেকে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত।অভিযোগ দায়েরের পর এলাকায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় শান্তিপ্রিয় মানুষজন।
তারিক আলি বিশ্বাসের দিদি এহোনারা বিবি জানান, যখন থেকে আমার ভাইয়ের বৌ সভাপতি হয়েছিল, তখন থেকেই ওরা আমাদের বিরক্ত করত। নানাভাবে অত্যাচার চালাত।ভাইয়ের বৌ ক্যান্সারে মারা যাওয়ার পর থেকে ও
এইসব ঝামেলা থেকে বের হয়ে আসতে চাইছিল। এরই মধ্যে রাতের অন্ধকারে কয়েকজন আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ আমি ১২ জনের নামে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
You should take part in a contest for one of the best blogs on the web. I will recommend this site!