লাহোর: মুষলধারায় বৃষ্টি ও একের পর এক বজ্রপাতে অন্ততপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু পাকিস্তানে। আহত হয়েছেন ১১০ জনের বেশি। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঘটনা। তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। যার ফলে প্রদেশজুড়ে পরিকাঠামোগত ধস নেমেছে। পাঞ্জাব প্রভিনসিয়াল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি সূত্রের খবর। PDMS অনুসারে, যদিও তীব্র বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিল, কিন্তু তা এতটা মারাত্মক আকার ধারণ করবে অনুমান করা যায়নি।
শনিবার থেকে পাঞ্জাব প্রদেশ জুড়ে এখন পর্যন্ত ১২৪টি পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। যার বেশিরভাগই ছাদে থাকা সৌর প্যানেলের সঙ্গে সম্পর্কিত। সূত্র অনুযায়ী, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সঙ্গে সেগুলি রাখা হয়নি। PDMA ডিরেক্টর জেনারেল ইরফান আলি কাঠিয়া বলেন, “আমি নাগরিকদের কাছে আবহাওয়ার অবনতির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং চরম জলবায়ুর মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে।” তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নে ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির ফলে পাকিস্তান ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।
২০২৫ সাল হল টানা দ্বিতীয় বছর যখন গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা হঠাৎ করে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। তাপমাত্রা প্রকৃত হ্রাস পাওয়ায়, আমাদের গুরুতর পদক্ষেপের প্রয়োজন – যেমন- বৃক্ষ রোপণ, উন্নত নগর পরিকল্পনা এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সরকার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য জল সরবরাহ প্রচেষ্টা এবং পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা সহ একাধিক ব্যবস্থা চালু করেছে । তা সত্ত্বেও, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের প্রয়োজন।”
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান। গত রবিবার রাতেই পাকিস্তানের কিছু অংশে ফের ভূমিকম্পের ধাক্কা অনুভূত হয়। এর তীব্রতা ছিল ৪.৭। গত কয়েক দিনে এটি ছিল তৃতীয় ভূমিকম্পের ঘটনা। পাকিস্তানের সঙ্গে সঙ্গে চিন ও মায়ানমারেও সম্প্রতি ভূমিকম্প হয়। তবে কোনওটির আঘাতেই বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এআরওয়াই নিউজের খবরে দাবি, রবিবার রাতে পাকিস্তানের সোয়াত জেলার আশেপাশে ভূমিকম্পের ধাক্কা অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের গভীরতা ২০৫ কিলোমিটার গভীরে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হিন্দুকুশ পর্বতমালায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। কেন বারবার দুলে উঠছে পাকিস্তান? আসলে বালুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তান ইউরেশিয়ান প্লেটের অন্তর্গত। আর পাকিস্তানের পাঞ্জাবপ্রদেশ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীচে রয়েছে ভারতীয় প্লেট। এই দুই প্লেটের সরণ ও সংঘর্ষের অভিঘাতেই এই কম্পন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেট বারবার স্থানবদল করে , তার ফলেই মাটি কেঁপে ওঠে।
Monsoon: আগামী ৩ দিনের মধ্যে বর্ষা বঙ্গে, বাড়তে পারে নদীর জলস্তর
I truly appreciate you sharing this. It’s been very useful. Hope to see more soon.. Check my website: https://b1top0010.xyz/ !