ওয়েব ডেস্ক, ডিজিটাল বেঙ্গল, ৩০ এপিলঃ অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘাতে যখন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করছেন, তখন একই জেলায় হিন্দুত্বের ধ্বজা তুলে ধরতে সনাতনী সম্মেলনের আয়োজন করেছেন কাথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। প্রশাসনের তরফে অনুমতি না মেলায় বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতেই এই সনাতনী ধর্ম সম্মেলনে পুজো ও হোমযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রায় পাঁচশো সাধুসন্ত-সহ প্রায় তিন হাজার সনাতনী মানুষের সমাগম হয়েছিল৷ তবে, এই সম্মেলন ঘিরে রাজ্য সরকারের তরফে আপত্তি তোলা হয়েছিল নিরাপত্তার প্রশ্নে ৷ যা নিয়ে এদিন সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী।
এ দিন সৌমেন্দু বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা সবরকম নিয়ম মেনে সনাতনী সম্মেলন করছি৷ যেহেতু আদালতের বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই লোকজনের জমায়েতের সেভাবে হচ্ছে না ৷ তবে, আমাদের পুজো সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর তিনটের মধ্যে শেষ করা হয়েছে। পাশাপাশি, আগত ভক্তদের জন্য অন্নপ্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে ৷
উল্লেখ্য, কাঁথির এই সনাতনী সম্মেলন থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে পুরীর আদলে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ৷ যা নিয়ে সৌমেন্দু বলেন, ৩২ কিলোমিটার দূরে হোক বা ৩২০ কিলোমিটার দূরে৷ বিরোধী দলনেতা বা বিরোধী দল যে কর্মসূচিই করুক না কেন এই সরকার সবকিছুতেই বাধা দেবে ৷ আর শুভেন্দু অধিকারী এই সনাতনী সম্মেলনের আয়োজক নন ৷ উনি এখানে কেবল উপস্থিত থাকবেন ৷
তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন অনেক কিছু করবেন ৷ এখন ওঁকে বলতে হচ্ছে উনি ব্রাহ্মণের সন্তান, যেখান ঘুমান, সেখানে মাথায় কাছে শিবলিঙ্গ থাক ৷ আদতে এখন একদিকে একশো শতাংশ ভোট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে৷ আরেকদিকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে তো কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে ৷ তাই উনি বেরিয়েছেন হিন্দু সাজতে ৷
এ প্রসঙ্গে সরাসরি শাসকদল বা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা না করলেও তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, প্রস্তুতি কিছুই দেখার নেই ৷ প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল৷ কিন্তু, এই সরকার সনাতনীদের সব কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করে ৷ তাই কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতে এই সম্মেলন হচ্ছে ৷ যজ্ঞও চলছে ৷ আর এখান থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে আরেকটি কর্মসূচি হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করে বিতর্কে যাব না ৷