ডিজিটাল বেঙ্গল, মোথাবাড়ি, ১১ এপ্রিল— subhendu-beats-sabina দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াচক ২ ব্লকের মোথাবাড়ি বিধানসভা কংগ্রেসের খাস দুর্গ হিসেবেই পরিচিত। সেই মোথাবাড়ির মুকুটহীন রাণি বলে পরিচিত সাবিনা ইয়াসমিন।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেও এখনও তাঁর দাপট রয়েছে যথেষ্ট। বর্তমানে তিনি রাজ্যের একজন প্রতিমন্ত্রীও বটে। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর এই দাপট বজায় থাকবে কি না, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রয়েছে খোদ সাবিনার কপালেও। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় শুক্রবার দাপিয়ে বেড়ালেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বছর ঘুরতেই ভোট, শীতঘুমে আচ্ছন্ন মালদা জেলা কংগ্রেস, শুভেন্দুকে কটাক্ষ কংগ্রেস সহকারী সভাপতির
তৃণমূলের দখলে থাকা মোথাবাড়ি বিধানসভার একাধিক বুথে গত লোকসভায় এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির এই উত্থান তৃণমূল নেতাদেরকেও চিন্তায় রেখেছে। লোকসভার মতো ভোট হলে মোথাবাড়ি বিধানসভা সাবিনার হাতছাড়া হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। নিজের আসন ধরে রাখতে তাই এখন থেকেই পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে শুরু করে দিয়েছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। জোর দিয়েছেন এলাকার উন্নয়নে।কর্মীদের নিয়ে প্রায়দিনই সভা করছেন।
ফের অশান্তির কালো মেঘ মোজমপুরে
সম্প্রতি রামনবমীকে কেন্দ্র করে এই বিধানসভা এলাকায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। যদিও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিভাজনের রাজনীতিকে উসকে দিয়ে তার সুবিধা নিতে এলাকায় আসার জন্য প্রশাসনের অনুমতি চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অনুমতি না মেলায় তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই মেলে ছাড়পত্র। তবে আরোপ করা হয় বেশকিছু শর্ত। হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পরেই শুক্রবার মালদায় চলে আসেন শুভেন্দু। জেলা নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করে সকাল সকালেই নিজের কনভয় নিয়ে হাজির হয়ে যান মোথাবাড়িতে। স্পর্শকাতর এলাকা হওয়ায় আগে থেকেই নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলা হয়েছিল মোথাবাড়িতে। আগে থেকেই সেখানেই হাজির ছিলেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। শুভেন্দু হাজির হতেই তাঁরা মালা পরিয়ে বরণ করে নেন তাঁকে। সেইসঙ্গে জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে আকাশ বাতাস। বেশকিছু সংখ্যালঘু মানুষকেও দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে হাজির হতে। তিনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই রাজ্যে বেকারদের কাজ নেই। বিশেষ ধর্মের মানুষের ওপর হামলা করা হচ্ছে। সরকারি দুর্নীতির কারণে শিক্ষা প্রায় ধ্বংসের মুখে। নিজেদের হকের চাকরি চাইতে গেলে পুলিশের লাঠিপেটা খেতে হচ্ছে। এমনকি রাজ্যের মধ্যে কোথাও যেতে গেলেও হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছে। তাই এই অপদার্থ সরকারকে আগামীদিনে মানুষ ছুড়ে ফেলে দেবেন। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিজেপিই সরকার গঠন করবে।
subhendu-beats-sabina
One thought on “সাবিনা গড়ে দাপালেন শুভেন্দু subhendu-beats-sabina”