ডিজিটাল বেঙ্গল, শিলিগুড়ি, ৩১ মেঃ চলতি মে মাসেই শিলিগুড়িতে দিনতিনেক কাটিয়ে গিয়েছেন মমতা। তার এক মাসের মধ্যেই আবার উত্তরবঙ্গে হয়তো আসার কোনও আগাম পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। তবে শুক্রবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পুনরায় (Return) আসন্ন সফর নিয়ে। ৮ জুন থেকে ১৫ জুনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন তিনি। সরকারিভাবে যদিও এদিন রাত অবধি মমতার উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তাঁর সফরের কর্মসূচির কোনও তালিকাও প্রশাসনিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে বিশাল জনসভা করে কার্যত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল সরকারকে ‘নির্মম সরকার’ বলে আখ্যা দিয়ে একের পর এক প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করেছেন। মোদির সেই আক্রমণের একপ্রস্থ জবাব সেদিনই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে দিয়েছেন মমতা। আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগাগোড়া ছিল তীব্র ঝাঁঝালো।শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজ। সমস্ত ক্ষেত্রেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী।দুরনীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তাঁদের আরো প্রশ্রয় দিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী।আর প্রতিআক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে জুন মাসে আবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
এসএসসি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা, আদিবাসীদের উন্নয়ন বা চা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা- মোদির তোলা একের পর এক অভিযোগের জবাবে এদিন মু্খ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা একটি পোস্ট করেছেন। প্রায় হাজার শব্দের সেই পোস্টে বিভিন্ন বিষয় ধরে ধরে উন্নয়নের খতিয়ান দিয়েছেন তিনি। সেই পোস্টে মূলত বলা হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার কথা। ডুয়ার্সকন্যা নির্মাণ থেকে শুরু করে, জেলার বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, পাট্টা বিলি, বন্ধ চা বাগান খোলার মতো প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। মনে করা হচ্ছে, এবার উত্তরবঙ্গবাসীকে সামনাসামনি সেসব কথা জানাতেই সভা করতে আসছেন মমতা।
FIR | তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এফআইআর, এসডিপিও অফিসে গেলেন না অনুব্রত