উত্তর দিনাজপুর, ডিজিটাল বেঙ্গল, ২২ এপ্রিল– মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনায় এবার নাম জড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার। সমশেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাবা-ছেলেকে খুনের অন্যতম অভিযুক্ত জিয়াউল শেখকে চোপড়ার কালাগছ এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। স্থানীয় চোপড়া থানার পুলিশ এই ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ। তবে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় একটি বিবৃতি দিয়ে এখবর জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, এলাকায় এসটিএফ টিম এসেছিল। তবে কোনওরকম গ্রেপ্তারির বিষয়ে স্থানীয় থানায় কিছুই জানানো হয়নি। খুনের ঘটনায় চোপড়ার নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর রবিবার দিনভর এনিয়ে চর্চা চলে চোপড়ায়। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এর আগে চোপড়ায় ফেরিওয়ালার কাজ করত জিয়াউল। তাহলে কি খুনের ঘটনার পর গা-ঢাকা দিতেই চোপড়ার চেনা জায়গায় এসে উঠেছিল? প্রশ্নের জবাব মিলছে না। ধৃত জিয়াউল সামশেরগঞ্জের সুলিতলা এলাকার বাসিন্দা। রবিবার তাকে জঙ্গিপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালাগছ এলাকায় তাকে খুব একটা কেউ চিনতেন না। তাই সেখানকার লোকজন প্রথমে কিছু বুঝতেও পারেননি। তবে যে এলাকায় জিয়াউল আশ্রয় নিয়েছিল, সেখানকার কেউ আবার এব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না, বা চাইছেন না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানা গিয়েছে, দু’দিন আগেই নাকি কালাগছ এলাকায় এসে উঠেছিল জিয়াউল। এখানে কাজেও যোগ দিয়েছিল। এই জায়গা তার চেনা। কয়েকবছর আগে এখানেই ঘরভাড়া নিয়ে ফেরিওয়ালার কাজ করত জিয়াউল। কালাগছ মাছ বাজারের অদূরে পরিচিত ফেরিওয়ালাদের ডেরায় উঠেছিল। মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলার অনেকেই এই এলাকায় ফেরিওয়ালার কাজ করেন। তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই সে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
দু’দিনের মধ্যে কাজও খুঁজে নিয়েছিল। ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে ভাঙাচোরা লোহার সামগ্রী কেনার ব্যবসা করেন সেখানকার এক ব্যক্তি। সেই ব্যবসায়ী জিয়াউলকে কাজ দেন। ওই ব্যবসায়ীর ছেলে রোহিত আলি বলছেন, ‘শনিবার দুটি গাড়িতে করে কাঁচাকালী এলাকা থেকে ভাঙাচোরা জিনিসপত্র নিয়ে ওরা ফিরছিল। সামনের গাড়িতে জিয়াউল ছিল। পথে কালাগছ বাজারের মোড় থেকে জিয়াউলকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে।’ কোথাকার পুলিশ, কী কারণেই বা তাকে ধরেছে এব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতে পারেননি বলে দাবি রোহিতের। তবে জিয়াউলকে তাঁরা আগে থেকে চিনতেন। রোহিত আরও বলেন, ‘জিয়াউল আগে এলাকায় অনেকদিন কাজ করেছিল। এবার প্রায় ১০ বছর পর দু’দিন আগে এসে কাজ খুঁজছিল। পুরোনো পরিচিতির সুবাদে তাকে কাজে নেওয়া হয়েছিল।