ওয়েব ডেস্ক, ডিজিটাল বেঙ্গল, ২৮ এপ্রিল ঃ সম্প্রতি সুপ্রিম রায়ে রায়ে প্রায় ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে।যদিও শিক্ষাকর্মী ও অযোগ্য তালিকায় থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে। কিন্তু তার মধ্যেই ফের নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে এইসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।এরই মধ্যে ফের আজ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভাগ্যও আজ নির্ধারিত হতে পারে হাইকোর্টে। ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চাকরি বাতিল সঙ্ক্রান্ত মামলার আজ শুনানি রয়েছে হাইকোর্টের দুই বিচারপতি তপোব্রত চক্রব্রতী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে।
উল্লেখ্য, অ্যাপটিটিউড টেস্ট না নেওয়া, ওএমআর জালিয়াতি, সংরক্ষণের নীতি না মানা, র্যাঙ্ক জাম্পের মতো একাধিক অভিযোগে এই মামলা দায়ের হয়েছিল । ২০২৩ সালের সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন । যদিও ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল । কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । আপাতত ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার সুদীর্ঘ শুনানি হতে চলেছে বলেই জানাচ্ছেন আইনজীবীরা ।
২০২৩ সালে একাধিক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ১২মে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও পরে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় এমনিতে খুব কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । তারপর ফের যদি 32 হাজার চাকরি বাতিল হয় তাহলে রাজ্য সরকার কীভাবে তা সামাল দেবে সে নিয়েও নানারকম জল্পনা শুরু হয়েছে ।
এর আগে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিরতদের ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট একসঙ্গেই করা হয়েছিল । আর প্রশিক্ষণের বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত যাদের প্রশিক্ষণ নেই, সেই প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার ২ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিলেই হবে । ডিভিশন বেঞ্চ এই সমস্ত কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় । আপাতত দেখার এই চাকরিরত বিরাট সংখ্যক প্রার্থীদের চাকরি টিকে থাকে কিনা ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ।
One thought on “প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি আজ”