ওয়েব ডেস্ক, ডিজিটাল বেঙ্গল, ২২ এপ্রিলঃ শেয়ারবাজারে ধস নামার পাশাপাশি গত দুই দিনে অনেকটাই কমেছে সোনার দর । মাত্র দুই দিনে ১০গ্রাম সোনার দর প্রায় ২৭০০ টাকা কমেছে। আজও ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৬৫০ টাকা কমেছে। আগামী দিনে সোনার দামে আরও বড়সড় পতন হতে পারে! সোনার দাম সম্পর্কে মার্কিন ইক্যুইটি বিশেষজ্ঞের করা ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্য হয়, তাহলে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৩৮ শতাংশ কমে ফের ৫৫ হাজার টাকা থেকে ৬৮ হাজার টাকায় পৌঁছাতে পারে।দেশের বেশিরভাগ শহরে সোনার দাম কমে গেছে। এর আগে ৭ এপ্রিল, সোনার দাম ১৯২৯ টাকা কমে প্রতি ১০ গ্রামে ৮৯ হাজার ৮৫ টাকা হয়।
ইকোনমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকান মর্নিংস্টারের বিশ্লেষক, মার্কিন ইক্যুইটি বিশেষজ্ঞ জন মিলস এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। মর্নিংস্টারের বিশ্লেষক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, আগামী দিনে সোনার দাম ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। মিলস দাবি করেছেন যে, আগামী বছরগুলিতে সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৮০ ডলার থেকে কমে ১৮২০ ডলারে নেমে আসতে পারে। এর প্রভাব পড়বে ভারতেও। এই দেশে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৫৫ হাজার থেকে ৫৬ হাজার হতে পারে।
সোনার দামে ধস নামার কারণ হিসেবে আমেরিকান অর্থনীতিবিদ জন মিলস তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীতে বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী সোনার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণে সোনার মজুদ ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সোনার সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে উদ্বৃত্ত সরবরাহ তৈরি হতে পারে, যে কারণে সোনার দামে পতন দেখা যেতে পারে।
এছাড়াও মার্কিন ইক্যুইটি বিশেষজ্ঞের মতে, সরবরাহ বৃদ্ধি পেলেও, সোনার চাহিদা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। সোনার দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরো কারবার কমছে। একই সঙ্গে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ক্রমাগত সোনা কিনছে, যা আগামী দিনে কমতে পারে। চাহিদা কমে যাওয়ায় সোনার দাম কমতে পারে।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞই জন মিলসের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে একমত নন। ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার মতে, আগামী দুই বছরে সোনার দাম প্রতি আউন্স সাড়ে তিন হাজার ডলারে পৌঁছাতে পারে। গোল্ডম্যান শ্যাক্সের মতে, এই বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম প্রতি আউন্স সাড়ে তিন হাজার ডলারে পৌঁছাবে। এই মতামত মানলে এই বছরের শেষ নাগাদ ভারতে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার স্তরে পৌঁছতে পারে।