Gandogol | মোজমপুরে অশান্তি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি কাজিয়া

in Mojampur

ডিজিটাল বেঙ্গল, কালিয়াচক, ২৮ মেঃ মোজমপুরে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর জেলাজুড়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, এত অস্ত্র আসছে কোথা থেকে।পালটা জবাব দিয়েছেন মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু। তিনি দাবি করেছেন, একটা শক্তি বাইরে থেকে অস্ত্র এবং লোকজন নিয়ে শান্ত বাংলাকে অশান্ত (Gandogol) করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সাধারণ মানুষ। মানুষই সম্প্রীতি বজায় রেখে সমস্ত অশান্তি রুখে দিচ্ছেন।এবং আগামীতেও মানুষ তৃণমূলের পাশে থাকবে।

সম্প্রতি কালিয়াচকের মোজমপুরে লিচুবাগান পাহারা দেওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হন করিম খান নামে এক ব্যক্তি। বছর আঠাশের ওই যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর মালদা মেডিকেলে রেফার করা হয়। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো রয়েছে বলে সূত্রের খবর। গুলি চালানোর কারণ নিয়ে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনও ধন্দে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার পেছনে মাদক কারবারীদের হাত থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

দীর্ঘদিন ধরে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য বলে মোজমপুরের একটা কুখ্যতি রয়েছে।তবে পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয়তার কারণে অপরাধের মাত্রা আগের তুলনায় অনেকটা কম হলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আর মাত্র মাস কয়েক পরে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে ফের মোজমপুর অশান্ত হয়ে ওঠার কারণে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা দপ্তরের ব্যর্থতাকে দায়ি করেছেন মালদা জেলা বিজেপির অন্যতম নেতা অম্লান ভাদুড়ি। তিনি বলেন,বছরের শুরুতেই তৃণমূলের একজন দাপুটে নেতা দিনের আলোয় খুন হয়ে গেলেন দুষ্কৃতীদের হাতে। তারপর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। অম্লানবাবুর প্রশ্ন, এত অস্ত্র আসছে কোথা থেকে। জেলার পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা  বিভাগ কি করছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত কোনো খবরই থাকছে না পুলিশের কাছে। ঘটনা ঘটার পর পুলিশ সেখানে হাজির হচ্ছে। পুলিশ যদি এমনভাবে কাজ করে তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়।

বিষয়টি নিয়ে পালটা মুখ খুলেছেন মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু। তিনি বলেন,পুলিশ প্রশাসন ঠিকভাবেই তাদের কাজ করছে। তবে রাজ্যের একটা শক্তি বাইরে থেকে অস্ত্র ও লোকজন নিয়ে এসে ঝামেলা তৈরির চেষ্টা করছে। বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো জায়গা থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিক সভা করেও রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি।মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখেছেন। রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে তাই বিরোধীরা শান্ত এলাকাকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে তাঁরা সফল হবেন না। জেলার মানুষ যেভাবে সম্প্রীতির সঙ্গে ছিলেন, আগামীদিনেও থাকবেন।

Kamal Hasan | রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন কামাল হাসান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *