ডিজিটাল বেঙ্গল, আলিপুরদুয়ার, ৩১ মেঃ ফের হাতির হানা (Elephant Attack) লোকালয়ে। জলদাপাড়া বনাঞ্চলে বুনো হাতির হামলা । তাতেই প্রাণ হারাল ৩৫ দিন বয়সী এক দুধের শিশুকন্যা সহ একই পরিবারের তিন জন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফালাকাটার কুঞ্জনগরে।সেই সঙ্গে ক্ষোভ ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান।বন দপ্তরের তরফে অবশ্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে সাহায্য দেওয়া হবে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য।
জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে কুঞ্জনগর এলাকায় প্রবেশ করে একটি হাতির দল। রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে বের হন পেশায় টোটো চালক মনোজিৎ দাস (৩২)। বাড়ির পাশে সেখানেই তাঁকে আক্রমণ করে হাতিটি। কোমর ও পুরুষাঙ্গে আক্রমণ করায় গুরুতর জখম হন তিনি। ছেলের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হন বছর পঁয়ষট্টির মাখনরানি দাস। বৃদ্ধার কোলে ছিল মনোজিট-এর ৩৫ দিন বয়সের শিশু কন্যা। হাতিটি তখন দ্রুত বেগে ওই বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধাকে পিষে দেয়৷ কোল থেকে ছিটকে পড়ে একরত্তি শিশুটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার৷ তবে শিশুটিকে সেভাবে আঘাত করেনি হাতিটি। কিন্তু ঠাকুমার কোল থেকে ছিটকে পড়ে পাশে পাকা দেওয়ালে মাথায় গুরুতর চোট পায় শিশুটি।
বনদপ্তরের গাড়িতেই জখম মনোজিত ও তার শিশুকন্যাকে তড়িঘড়ি ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই শিশুটির মৃত্যু হয়। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর মনোজিতের মৃত্যু হয়। শনিবার তিনটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এদিন ক্ষোভের পাশাপাশি শোকের ছায়া নামে কুঞ্জনগরে। এদিন সকাল থেকে এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ তিনজনের এই মৃত্যুতে গোটা পরিবারের বাকরুদ্ব হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, ফালাকাটা-নয় মাইলের রাস্তায় বাঁশ বেঁধে অবরোধ করেন স্থানীয়রা। বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান হয়। তবে জলদাপাড়া বনদপ্তর জানিয়েছে, মৃতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং পরিবারের একজন চাকরিও পাবেন।
Sabina bitorko চাকরি দলের ছেলেদেরই দেব, বিতর্কে সাফাই মন্ত্রী সাবিনার
One thought on “Elephant Attack | হাতির হানায় মৃত্যু একই পরিবারের তিনজন”