ডিজিটাল বেঙ্গল,পূর্ব মেদিনীপুর ,২৮ এপ্রিলঃ অপেক্ষার আর মাত্র দুইদিন।অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নে দীঘায় উদ্বোধন হতে চলেছে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার মন্দির।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তিনটি মন্দিরের উদ্বোধন ক্রবেন।রাজ্য মন্ত্রীসভার প্রায় সমস্ত সদস্য, সরকারি উচ্চপদস্থ আমলা থেকে বহু ভিআইপি উদবোধনী অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন।এছাড়াও প্রায় লাখো মানুষের সমাগম হতে পারে সেই পবিত্র দিনে। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা আসতে শুরু ক্রেছেন।নিরাপত্তার দিকে কড়া নজর রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাস্নের।ভিড় নিয়ন্ত্রণে আগাম একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মন্দির উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে থেকেই যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। এককথায় মন্দিরের উদ্বোধনের জাঁকজমকে কোনো খামতি রাখতে চাইছে না প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার।
বাঙ্গালির কাছে পুরির জগন্নাথ মন্দিরের আলাদা একটা মাহাত্ম্য রয়েছে। প্রতিবছর হাজারো মানুষ সেই মন্দিরে যান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি তথা দেশের সমস্ত জগন্নাথ ভক্তদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে বাংলার বুকেই এই মন্দির তৈরির পরিকল্পনা করেন। স্থির হয়, পুরিতে সমুদ্রের তিরে যেভাবে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার মন্দির রয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘাতে সমুদ্রের ধারেই গড়ে উঠবে এই তিন মন্দির।একেবারে পুরির মন্দিরের আদলেই এই তিনটি মন্দির তৈরি করা হবে। এছাড়াও সেখানকার মতো বিগ্রহও থাকবে এই তিন মন্দিরে। পুজো ও প্রসাদ বিতরণেও পুরির মন্দিরের ব্যবস্থাপনাকে অনুকরণ করা হয়। সেই মতো এক বছর আগেই কাজ শুরু হয়।
মন্দিরের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিগ্রহ। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দির উদ্বোধনের পরেই শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে সেই বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। পুরির মতো দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুজো করা হবে। ভক্তদের জন্য থাকবে প্রসাদের ব্যবস্থাও।
শুধু আধ্যাত্মিক দিক থেকেই নয়, এই মন্দির রাজ্যের কর্মক্ষেত্রেও নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। দূরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তদের জন্য থাকার জন্য গড়ে উঠবে বহু হোটেল। এমনিতেই পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে দিঘাতে হোটেল বা থাকার জায়গার অভাব নেই। কিন্তু শুধুমাত্র মন্দিরকে কেন্দ্র করেও আরো বহু হোটেল, হোম স্টে গড়ে উঠতে পারে। সেগুলিতে বহু বেকার যুবক যুবতির কর্মসংস্থান হবে।
One thought on “সাজো সাজো রব দীঘাজুড়ে”