ডিজিটাল বেঙ্গল, নদীয়া, ৫ মেঃ বকেয়া টাকা-সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ রেখেছেন সাফাইকর্মীরা। যার ফলে এলাকায় আবর্জনা জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেই আবর্জনা পরিষ্কার (Cleaning) করতে তাই এবারে ঝাঁটা হাতে একেবারে রাস্তায় নেমে পড়লেন স্বয়ং কাউন্সিলার ৷ জঞ্জাল সাফাইয়ে তাঁকে সঙ্গ দিলেন তাঁর স্বামীও৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে সাফাইকর্মীদের সঙ্গে বকেয়া টাকা-সহ বেতন বৃদ্ধি এবং আরও একাধিক ইস্যু নিয়ে সমস্যা চলছিল কৃষ্ণনগর পুরসভায়। সেই কারণে সাফাইকর্মীদের সংগঠন সিদ্ধান্ত নেয়, তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ রাখবে । এর জেরে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েন ।
সাফাইকর্মী না-আসায় রাস্তাঘাটে আবর্জনা জমতে থাকে দিনের পর দিন৷ বাড়ির সামনে জমা সেই আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। বিষয়টি নজরে আসে কৃষ্ণনগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার উজ্জ্বলা ঘোষ হালদারের৷ তিনি তাই স্বামী রূপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সকাল সকাল আবর্জনা পরিষ্কার করতে রাস্তায় নেমে পড়েন। দু’জনকেই দেখা গেল ঝাঁটা হাতে রাস্তার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে । এমনকি গাড়ি করে ময়লা তুলেও নিয়ে গেলেন দু’জনে ৷
আর রাস্তায় নেমে এভাবের নাগরিকের জন্য তাঁদের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা । এলাকাবাসীর মধ্যে একজন বলেন, বরাবরই এই কাউন্সিলর আমাদের সাহায্য করেন। তিনি আজ যে কাজ করছেন তার জন্য সত্যিই তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর মতোই ।
এবিষয়ে কংগ্রেসের কাউন্সিলর উজ্জ্বলা ঘোষ হালদার বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য সাফাই কর্মীরা কাজ বন্ধ রেখেছেন । কিন্তু প্রতিটা রাস্তার সামনে সকলে বাড়ির আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে, যা থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে । সেই কারণে আমি আর আমার স্বামী নিজেই পরিষ্কার করছি এবং স্বামী সেগুলো অন্যত্র ফেলে দিচ্ছে । আমি নিজে চেয়ারপার্সনকে অনুরোধ করেছিলাম সাফাই কর্মীদের সঙ্গে সমস্যা অতি দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ।
কাউন্সিলরের স্বামী রূপ ঘোষের কথায়, আমার স্ত্রী কাউন্সিলার৷ যখন ও ভোটে দাঁড়িয়েছিল, তখন মানুষকে কথা দিয়েছিলাম সব কাজ করে দেব । কিন্তু যখন সাফাইকর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ রাখল, তখন আমার টাকা নেই যে শ্রমিক রেখে আমি নিজের ওয়ার্ডের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখব। সেই কারণে আমি নিজেই এবং আমার স্ত্রী অর্থাৎ কাউন্সিলরকে নিয়ে সাফাইয়ের কাজে নেমে পড়েছি । পুরসভার ইউনিয়নের সঙ্গে সমস্যার কারণে সাফাই কর্মীর অভাবের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।
যদিও এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন রীতা দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি ।
Dam Construction | বাঁধ নির্মাণে ফের জটিলতা, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ
Thank you a lot for giving everyone remarkably spectacular possiblity to read critical reviews from this blog. It can be so good and full of a lot of fun for me and my office peers to search the blog a minimum of 3 times in 7 days to see the newest stuff you will have. Of course, I’m also always fulfilled with the fantastic advice you give. Some 2 areas in this posting are surely the best we’ve had.