Airport | চলতি বছরেই চালু হতে পারে মালদা বিমানবন্দর, বরাদ্দ ১৫ কোটি

Airport | allocation of Rs 15 crore

ডিজিটাল বেঙ্গল, মালদা, ৩০মেঃ চলতি বছরের শেষেই মালদায় বিমান পরিষেবা (Airport) চালু করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার ৷ সেই মতো জেলা প্রশাসনের কাছেও নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে৷ জানা যাচ্ছে, আগামী মাস থেকেই মালদা বিমানবন্দরে লাউঞ্জ, চেক ইন ও আউট করিডর, পার্কিং প্লেস, ফুড জোন, শৌচালয় ইত্যাদি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে৷কিন্তু জেলায় উড়ান চালু হলেও তা জেলাবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে কি? বিশেষত জেলায় শিল্প স্থাপনে এই পরিষেবা কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছে৷

মালদায় বিমান পরিষেবা (Airport) চালুর দাবি দীর্ঘদিনের৷ মূলত, ব্যবসায়ীদের তরফেই বারবার সেই দাবি উঠেছে৷ সমাজের অন্য অংশের মানুষ যাঁদের নিয়মিত কলকাতা যাতায়াত করতে হয়, তাঁরাও সেই দাবিকে সমর্থন করেছেন।কিন্তু এতদিন এই পরিষেবা চালু নিয়ে নানা টালবাহানা চলছিল৷ কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা এই বিমানবন্দর পরিদর্শন করে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখানে উড়ান চালু করা সম্ভব নয় ৷ কিন্তু তারপরেও প্রতিটি নির্বাচনের সময় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বিমানবন্দর৷ একসময় শহরের বাইরে বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য পুরাতন মালদায় জায়গাও দেখা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই পর্যন্তই৷ অবশেষে শহরের মধ্যে থাকা পুরনো বিমানবন্দরেই উড়ান চালু করার উদ্যোগ নেয় রাজ্য ৷

একসময় ৩৬০০ মিটার রানওয়ে থাকা এই বিমানবন্দরে শেষবার যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করেছিল ১৯৮৯ সালে৷ মধ্যের ৪৬ পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার কারণে বিমানবন্দরের অনেক জায়গা জবরদখল হয়ে গিয়েছে ৩৬০০ মিটারের রানওয়ে ২০১৭ সালে এসে দাঁড়ায় ১২০০ মিটারে৷ ২০১৮ সালে বিমানবন্দরের পশ্চিম দিকে ১৭ কোটি টাকা খরচ করে ৩৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়৷ ২০২০ সালে নির্মাণ করা হয় ১৮০০মিটার দৈর্ঘ্যের রানওয়ে৷ যদিও এই রানওয়েতে বড় বিমান ওঠানামা করতে পারবে না৷ তার জন্য প্রয়োজন অন্তত ২৭০০মিটারের রানওয়ে৷ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রানওয়ে আরও বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব রাজ্যে পাঠানো হয়েছে৷

ছোট বিমান চলাচল প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে জেলার কোনও উন্নতি হবে না৷ বিমান পরিষেবার মাধ্যমে কোনও জায়গায় উন্নয়ন করতে গেলে প্রথমেই প্রয়োজন কার্গো পরিষেবার৷ উড়ান চালু হলে কলকাতা কিংবা অন্য শহরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা যাবে, সেটা ঠিক৷ কিন্তু তাতে শিল্পস্থাপনের ভবিষ্যৎ কার্যত শূন্য৷ আগে মালদা থেকে কলকাতায় যেতে কমপক্ষে ১০ঘণ্টা সময় লাগত৷ এখন বন্দেভারত কিংবা শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনে অনেক কম সময়ে কলকাতা পৌঁছোনো যায়৷ দিল্লি যাতায়াতের জন্য এখন রাজধানী এক্সপ্রেসও রয়েছে৷ তাই পড়ুয়া, রোগী বা সাধারণ মানুষজনের ক্ষেত্রে বিমান পরিষেবা কাজে দিলেও ব্যবসায়ীদের সেটা কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷

জেলার বণিকসভা, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডুর কথায়, মালদা এয়ারপোর্টকে চালু করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করা হচ্ছে৷ কখনও রাজ্য সরকার, কখনও বা কেন্দ্রীয় সরকার সেই চেষ্টা চালাচ্ছে৷ ক’দিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই এয়ারপোর্টকে চালু করার জন্য উদ্যোগ শুরু করেছেন৷ আমাদের কাছে খবর, এবার পুজোর পরই মালদা এয়ারপোর্ট চালু হয়ে যাবে।

মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া বলেন, চলতি বছরের শেষে মালদায় বিমান পরিষেবা অবশ্যই চালু হবে৷ তার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷পরিকাঠামোগত নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার প্রাথমিকভাবে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে৷ দ্রুত সেই কাজে হাত দেওয়া হবে৷ তবে রানওয়ে ছোট থাকায় এখনই বড় বিমান এখানে চলাচল করতে পারবে না৷ রানওয়ে কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তার চিন্তাভাবনা চলছে।

SSC | প্রকাশিত হল এসএসসির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *