মোথাবাড়িতে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল

ডিজিটাল বেঙ্গল, মোথাবাড়ি, ৪ মার্চ- ‘আমরা শান্তি চাই’! রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে আর্জি মহিলাদের। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ আছে। তাই একটু ভরসা পাচ্ছি। কিন্তু আজ নয়, কাল তো পুলিশ চলে যাবে, তখন কি হবে? এই আতঙ্কই এখন তাড়া করছে মোথাবাড়ির গ্রামগুলিতে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে কোনও ক্ষোভ নেই। তবে পুলিশি নিরাপত্তা উঠে গেলেই ফের ওশান্তি ছড়াবে না তো। এই প্রশ্ন এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে মোথাবাড়ির বাসিন্দাদের।
দিন কয়েক আগে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মোথাবাড়িতে ঘটনার ছয়দিন পর রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় সহ তিন সদস্যের একটি দল মোথাবাড়ি পরিদর্শনে আসেন। মোথাবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত চারটি গ্রাম পরিদর্শন করে কথা বলেন উভয় পক্ষের মহিলাদের সঙ্গে। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেন মহিলাদের। তবে প্রতিটি গ্রামের উভয় পক্ষের মহিলারা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ঘটনার পর পরিবারের পুরুষদেরকে পুলিশ মারধর করার পর অনেকেই তুলে নিয়ে গেছে। অনেককেই অকারণে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মহিলারা। একাধিক গ্রামে ভাঙচুর ইট পাটকেল ছড়ার অভিযোগ ওঠে দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েকদিন কেটে যায় পুলিশের।
সেইদিনের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শিউরিয়ে উঠলেন সবজি বিক্রেতা শঙ্করী মন্ডল। তাঁর কথায়, ৪৩ বছর ধরে মোথাবাড়ি স্ট্যান্ডে সবজি বিক্রি করছি। কোনদিন এমন ঘটনা দেখিনা। কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে হাত জোড় করে তিনি আনুরোধ জানান আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে।
বাসন্তী রায় বলেন, এর আগে কোনদিন এমন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। আমরা শান্তি চাই। আপাতত পুলিশ আছে তাই কিছুটা হলেও আতঙ্ক কেটেছে। পুলিশ উঠে গেলে আবার কি হবে, এনিয়েই আতঙ্কে রয়েছে আমরা। এখনো মোথাবাড়ি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও মোতায়েন রয়েছে গ্রামে গ্রামে পুলিশ। নিয়মিত টহলদারি চলছে পুলিশের। এদিন মোথাবাড়ি পরিদর্শনে আছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল। মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *