ওয়েব ডেস্ক, জলপাইগুড়ি, ২৮ মেঃ অবশেষে কাটতে চলেছে জট। দীর্ঘ টানাপোড়েন ও প্রযুক্তিগত সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে অনলাইন নিলাম (Tea Auction) চালু হতে চলেছে জলপাইগুড়ি চা নিলামকেন্দ্র। তবে কবে থেকে সেই অনলাইনে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে, তার তারিখ ও বিক্রির নম্বর চূড়ান্ত করতে নর্থবেঙ্গল টি অকশন কমিটি আগামী ৩০ মে জরুরি বৈঠক ডেকেছে। শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডে এসটিটিএ বিল্ডিংয়ের হলঘরে হবে সেই বৈঠক।
জলপাইগুড়ি টি অকশন টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান সঞ্জয় ধানুটে জানান, জলপাইগুড়ি চা নিলামকেন্দ্রের প্যান কার্ড, জিএসটি নম্বর এবং টি বোর্ডের অর্গানাইজার লাইসেন্স ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
চা নিলামকেন্দ্র খোলা নিয়ে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই নানা টালবাহানা চলছে। এর আগে গত ১২ মে থেকে জলপাইগুড়ি চা নিলামকেন্দ্রে অনলাইনে চা নিলাম প্রক্রিয়া চালু করতে চেয়ে তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। চা পর্ষদ সেকথা জানালেনও এত অল্প সময়ে তৈরি চা গুদামজাত করতে সমস্যায় পড়তে হত চা নিলাম কমিটিকে। তাছাড়া কম সময়ে নিলামকেন্দ্রের প্যান কার্ড, জিএসটি নম্বর ও টি বোর্ডের লাইসেন্স করাও সম্ভব ছিল না। তাই ১২ মে থেকে নিলাম চালু করা যায়নি বলে সঞ্জয় জানিয়েছেন।
তবে ১২ মে’রও আগে, গত ৩১ মার্চ থেকে জলপাইগুড়ি চা নিলামকেন্দ্র চালুর সমস্ত ব্যবস্থা করে রেখেছিল চা নিলাম কমিটি। গত ১০ মার্চ নিলামকেন্দ্রে চায়ের মহড়াও করা হয় সাফল্যের সঙ্গে। ৩১ মার্চ নিলাম চালুর আগে কমিটি ঘোষণা করেছিল, নিলামের পর ২৮ দিনের মধ্যে সেই চা তোলা যাবে। এমনকি ৭ দিনের মধ্যে নগদে চা কিনলে ২ শতাংশ এবং ১৪ দিনের মধ্যে নগদে চা কিনলে ১ শতাংশ ছাড়ের কথাও বলেছিল কমিটি। নিলাম কমিটির সিদ্ধান্তগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল ক্রেতা-বিক্রেতারা। কিন্তু বেঁকে বসে চা পর্ষদ। পর্ষদ ২৮ দিনের পরিবর্তে ১৩ দিনের মধ্যে নিলাম করা চা তোলার নির্দেশ দেয়। ছাড় দেওয়া নিয়েও কিছু নতুন নির্দেশিকা দেয়। চা পর্ষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নতুন করে চা নিলাম প্রক্রিয়া চালু করার জন্য পর্ষদকে এপ্রিলেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় নিলাম কমিটি। কিন্তু চা পর্ষদের সহকারী অধিকর্তা সমরেশ মণ্ডল ১২ মে থেকে নিলাম চালু করার কথা বলেন। সেটা আটকে যায় ওই প্যান নম্বর, জিএসটি নম্বরের গেরোয়। এবার সব বাধা কাটিয়ে নিলাম চালু করা যাবে বলে সব পক্ষই আশাবাদী।