ssc chairman ৪০ ঘন্টা পর ঘেরাওমুক্ত

ssc chairman

ssc chairman ৪০ ঘন্টা পর  ঘেরাওমুক্ত

ওয়েব ডেস্ক ডিজিটাল বেঙ্গল, ২৩ এপ্রিলঃ ssc chairman সুপ্রিম রায়ে চাকরি হারাদের আন্দোলনে এসএসসি অফিসেই ঘেরাও হয়েছিলেন  চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মুখার্জি। অবশেষে  শর্তসাপেক্ষে  আজ তিনি ঘেরাওমুক্ত হতে পেরেছেন। তবে দপ্তরের অন্য কর্মীরা  ভেতরে আটকেই রয়েছেন। টানা ৪০ ঘন্টা  পর ঘেরাওভুক্ত হতে পারায় কিছুটা স্বস্তিতে এসএসসি চেয়ারম্যান। আজ বিশেষ একটি মামলায় কোর্টে  তাকে হাজিরা দিতে হবে। তাই আন্দোলনকারীরা  বেশ কিছু শর্তে বিনিময়ে বাইরে বের হতে দিয়েছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগে চূড়ান্ত দুর্নীতি সামনে আসে। সিবিআই  তদন্ত করেও যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পৃথক করতে না পারায়  ২০১৪ সালের প্যানেলকে  আগেই  হাইকোর্ট বাতিল বলে ঘোষণা করেছে।

চাকরিহারাদের বিক্ষোভ তুলে নিতে চাপ, অনশনে আট শিক্ষক

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে  জানিয়ে এসএসসি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সর্বোচ্চ বিচারপতি হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখেন। ফলে এক ধাক্কায় চাকরি হারাতে হয় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা  ও শিক্ষা কর্মীকে। এর পরেই খোভে খেতে পারেন তারা। স্কুল সার্ভিস কমিশন সিবিআই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকার  কেন যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক করতে পারল না, সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামেন। ঘেরাও করে রাখা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের দপ্তর। ভেতরে আটকে পড়েন চেয়ারম্যান সহ অন্য কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু আন্দোলনকারীদের  তেরো জনের একটি প্রতিনিধনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তিনি আশ্বাস দেন কারো চাকরি যাবে না। কিন্তু সেই আশ্বাসে  ভরসা রাখতে পারেননি আন্দোলনকারীরা।

বাতিল হওয়া যোগ্য শিক্ষকদের চাকরিতে ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর সোমবার থেকে এসএসসি ভবন  ও মধ্যশিক্ষা দপ্তর  ঘেরাও করে  বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন  সদ্য চাকরিহারা  শিক্ষক শিক্ষিকারা। তারা দাবি জানান, সুপ্রিম কোর্ট  নতুনভাবে পরীক্ষা নেওয়ার  যে নির্দেশ দিয়েছে সেই মতো  তারা কেউ পরীক্ষায় বসবেন না। পরীক্ষা ছাড়াই আগের মত চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এ নিয়ে টানা টানা আন্দোলন  ও অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন  তারা। এমনকি মঙ্গলবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী  পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে চাকরি বহাল রাখার আশ্বাস দিলেও পিছু হটে নি বিক্ষুব্ধরা।
তবে আজ থেকে আন্দোলনের গতি কিছুটা কমেছে। বহু শিক্ষক শিক্ষিকা  নিজেদের কর্ম ক্ষেত্রে ফিরে গিয়েছেন। অপরদিকে যোগ্য ও অযোগ্য  সংক্রান্ত মামলায়  আজ কোর্টে হাজিরা দিন হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এসএসসি চেয়ারম্যানকে। তাই তাকে ছাড় দেওয়া হয়। তবে সমস্যা না মিটলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনে নাবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা  ও শিক্ষা কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *