ডিজিটাল বেঙ্গল, আলিপুরদুয়ার, ২৮ মেঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা (Meeting) করবেন। এর মাধ্যমেই জেলায় কার্যত ‘ঘুমন্ত সংগঠন’কে জাগিয়ে তুলতে পদ্ম শিবির সচেষ্ট হয়েছে। দিনকয়েক আগেও শুনসান দলের জেলা কার্যালয়ে এখন জোর ব্যস্ততা। গ্রাম থেকে শহর, বিজেপি নেতা–কর্মীরা সর্বত্রই ফ্লেক্স, ফেস্টুন লাগাচ্ছেন। ছোট ছোট সভার (Meeting) পাশাপাশি মিছিল চলছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিজেপির এই সক্রিয়তাকে আমল দিতে নারাজ।
প্রধানমন্ত্রীর সভা (Meeting) কি কোচবিহারে বিজেপির পালে হাওয়া আনবে? এ প্রশ্নে দলের বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মনের প্রতিক্রিয়া, ‘জেলায় আমাদের সংগঠন আগেও ছিল, এখনও আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের নেতা–কর্মীদের ওপর প্রচুর সন্ত্রাস করেছে। কিন্তু কাউকেই দলে টানতে পারেনি। আগামী বিধানসভাতে জেলার সবক’টি আসন আমরাই দখল করব।’ বৃহস্পতিবারের সভা সফল করতে তাঁরা সকলেই যে প্রচার করছেন সেটা জানান অভিজিৎ। ওইদিন জেলা থেকে কত কর্মী–সমর্থক যাবেন সেকথা তিনি অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি। তবে সূত্রের খবর, প্রায় ২০ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর কটাক্ষ, ‘বিজেপি দেশের সেনাদের লড়াইকে খাটো করে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে আনতে চাইছে। আগে নাকি উনি গরম চা বিক্রি করতেন, আর এখন গরম সিঁদুর বিক্রি করছেন। সাধারণ মানুষ এসব বুঝে গিয়েছে। তাই কোনও সভা করেই জেলা তথা রাজ্যে বিজেপির সংগঠন আর বাড়ানো যাবে না।’
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারে তৃণমূলের ব্যাপক কোন্দলের সুযোগেই বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি। পরবর্তীতে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত যুব নেতা নিশীথ প্রামাণিককে ২০১৯–এর লোকসভায় প্রার্থী করে তারা কোচবিহার আসন জিতে নেয়। এতেই জেলায় ঘাসফুলের বাগান লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে। ২০২১–এর বিধানসভাতেও পদ্ম শিবির সাফল্যের এই ট্রেন্ড ধরে রাখে। নাটাবাড়ি, কোচবিহার উত্তর, দক্ষিণ, মাথাভাঙ্গা, শীতলকুচি, তুফানগঞ্জ ও দিনহাটা আসনে তারা জয় পায়। তৃণমূল শুধু সিতাই ও মেখলিগঞ্জ আসন জেতে। পরে উপনির্বাচনে দিনহাটা আসন বিজেপির হাতছাড়া হয়।
এদিকে, তৃণমূল ফের রাজ্য দখল করায় পদ্ম শিবির জেলায় দুর্বল হতে শুরু করে। যার জেরে পরবর্তী পঞ্চায়েত, পুরভোট, ২০২৪–এর লোকসভায় তারা কোচবিহারে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে। নীচুতলার নেতা–কর্মীরা ঘরে বসে যেতে শুরু করেন। তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলার শক্তি বিজেপি হারিয়ে ফেলে। পাশাপাশি তাদের রাজ্যসভার সাংসদ তথা গ্রেটার নেতা নগেন রায়ও বর্তমানে দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলা শুরু করেছেন।
কোচবিহারে বিজেপির এই শক্তি ক্ষরণের আবহে আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে তারা ফের জেলার সাংগঠনিক কাজে গতি আনতে চাইছেন। গত ২২ মে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, আরেক সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন দলের জেলা কার্যালয়ে সিংহভাগ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করে গিয়েছেন। সেই বৈঠকেই জেলা থেকে প্রচুর সংখ্যক বিজেপি কর্মী–সমর্থককে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যকে সামনে প্রধানমন্ত্রীর সভার বিষয়ে জেলাজুড়ে লাগাতার প্রচারের ব্লু–প্রিন্ট করা হয়। সেই অনুযায়ী রোজই একগুচ্ছ কর্মসূচি চলছে। পদ্ম নেতা–কর্মীরা এখন কার্যত নাওয়াখাওয়া ভুলতে বসেছেন। জেলায় দলের এই হাইপ ধরে রাখতে পারলে আগামী বিধানসভায় তৃণমূল যে যথেষ্ট চাপে থাকবে সেটা তারা ভালোই জানে। একই মত রাজনৈতিক মহলের।
Protest | কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভের চেষ্টা অযোগ্য শিক্ষকদের
Its like you read my mind! You appear to know a lot about this, like
you wrote the book in it or something. I think that you can do with a few pics
to drive the message home a bit, but instead of that, this is great blog.
A great read. I will certainly be back.