Kaliachak রাখি বন্ধনে মানবিকতার বার্তা নিয়ে মহিলা তৃণমূল নেত্রী

Kaliachak রাখি বন্ধনে

Kaliachak রাখি বন্ধনে মানবিকতার বার্তা নিয়ে মহিলা তৃণমূল নেত্রী 

কালিয়াচক, ৯ আগস্ট:
ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বার্তা নিয়ে রাখি বন্ধন উৎসবকে কেন্দ্র করে এক অভিনব ও মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করলেন মালদা জেলার কালিয়াচক-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী দিলরুবা খান। শনিবার সকালে তিনি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও জনসাধারণের মাঝে রাখি বন্ধন পালন করে সমাজে ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিলেন।

উৎসবের শুরুটা হয় কালিয়াচক থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও কর্মরত পুলিশ সদস্যদের হাতে রাখি পরিয়ে দিলরুবা দেবী জানান, “পুলিশ আমাদের রক্ষা করেন, নিরাপত্তা দেন। তাই এই দিনে তাঁদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া আমাদের কর্তব্য।” পুলিশ আধিকারিকরাও তাঁর এই উদ্যোগকে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং ধন্যবাদ জানান।

মালদায় যুব তৃণমূলের ধর্ণা। Vedio 

এরপর তিনি রওনা দেন কালিয়াচক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী—সবার হাতে রাখি বেঁধে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেন। দিলরুবা বলেন, “স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের জীবনের কঠিন মুহূর্তে পাশে থাকেন। রাখি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম।”

পরবর্তীতে তিনি যান স্থানীয় ট্রাফিক বিভাগের অফিসে এবং সরকারি প্রশাসনিক দফতরে, যেখানে কর্মরত কর্মীদের হাতেও রাখি পরানো হয়। পাশাপাশি রাস্তায় চলতে থাকা সাধারণ পথচারীদের হাতেও রাখি বেঁধে তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে দিলরুবা খান বলেন, “রাখি বন্ধন কেবলমাত্র ভাই-বোনের সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি মানবতার, ঐক্যের, পারস্পরিক সম্মান ও সহানুভূতির প্রতীক। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে এই বার্তা পৌঁছে দিতেই আমাদের এই প্রয়াস।”

তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কালিয়াচক শহরের এক দোকানদার বলেন, “রাজনীতিকদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে এভাবে মিলেমিশে উৎসব পালন করতে দেখা খুবই বিরল ঘটনা। এতে সমাজে এক ইতিবাচক বার্তা ছড়ায়।”

Kaliachak এ রাখি উৎসব, মিছিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

একজন স্থানীয় গৃহবধূ বলেন, “আজকের দিনে রাজনীতির বাইরে গিয়ে এমন মানবিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমাদের সন্তানদের জন্যও এটা একটা শিক্ষার বিষয়।”

উৎসব পালন শেষে দিলরুবা জানান, ভবিষ্যতেও এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ নিয়মিতভাবে পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি শুধু ভোটের জন্য নয়, সমাজের পাশে থাকার দায়িত্ব নিয়েই আমরা রাজনীতি করি। রাখির দিনটিকে কেন্দ্র করে সমাজে মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

সব মিলিয়ে, রাখি বন্ধনের দিনটি কালিয়াচকে হয়ে উঠল এক সম্প্রীতির মেলবন্ধন। রাজনৈতিক রংকে ছাপিয়ে দিলরুবা খানের এই উদ্যোগ সমাজে এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। kaliachak-রাখি-বন্ধনে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *