Nadia’s tree father গাছের ডালে সংসার বেঁধে ২৭ বছর

Nadia's tree father

Nadia’s tree father গাছের ডালে সংসার বেঁধে ২৭ বছর ধরে নবদ্বীপের গাছ বাবা 

ভাগীরথীর তীরে অনন্য জীবনযাপন, পাখি-পোকামাকড়ই তাঁর সঙ্গী 

নদিয়া: Nadia’s tree father: নদিয়ার নবদ্বীপের রানীরচড়া মিস্ত্রীপাড়া কদমতলা ঘাটের বাসিন্দা ষাটের কোঠার শ্যামল সাধু, যিনি গাছ বাবা নামে পরিচিত, গত ২৭ বছর ধরে গাছের ডালপালার উপর তৈরি কুটিরে বসবাস করছেন। বর্ষার সময় ভাগীরথীর জল গ্রাম ভাসালেও তিনি নিজের ছোট্ট নৌকা ভরসা করে প্রতিদিন যাতায়াত করেন সেই কুটিরেই।

পাখি-পোকামাকড়ই তাঁর সঙ্গী >ভিডিও<  

>প্রায় ২৭ বছর ধরে গাছের উপরে কুটিরে বসবাস শ্যামল সাধুর

>স্থানীয়রা ডাকেন ‘গাছ বাবা’ নামে

>বর্ষায় কোমর সমান জলে ভেসে যায় চারপাশ, তবু কুটির ছাড়েন না তিনি

>নিত্যসঙ্গী অজস্র পোকামাকড়, ব্যাঙ, সাপ ও পাখি

>প্রতিদিন ভাত রান্না করে ভগবানকে নিবেদন করেন, পাখিদেরও খাবার দেন

>নিজ হাতে লাগানো গাছকে তিনি মনে করেন নিজের সন্তান

>এবারের ভরা ভাগীরথীতে ডুবে গেছে তাঁর লাগানো গাছ, চিন্তিত সাধুবাবা

Nadia’s tree father ভিডিও  

ভাগীরথীর তীরে দাঁড়ালেই চোখে পড়বে এক আশ্চর্য কুটির। গাছের ডালে বাঁশ, কাঠ ও খড় দিয়ে বানানো সেই ঘরেই সংসার শ্যামল সাধুর। প্রায় তিন দশক ধরে তিনি এখানেই বাস করছেন। আশেপাশের মানুষ তাঁকে ডাকে গাছ বাবা নামে।

বর্ষার সময় নদীর জল বেড়ে চারপাশ ডুবে যায় কোমর সমান জলে। সেই সময়ও গাছ বাবা আশ্রয় খোঁজেন না অন্য কোথাও। বরং প্রতিদিন ছোট্ট ডিঙি নৌকায় ভেসে নিজ কুটিরে ফেরেন। প্রতিদিন সামান্য ভাত রান্না করে ভগবানকে নিবেদন করেন, তারপর ভাত খেয়ে বাঁচেন। পাখিদের জন্যও খাবার আলাদা করে রাখেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, প্রয়োজনে সবাই সাহায্যের হাত বাড়ান। তবে সাধুবাবা নির্জনপ্রিয়। ভিক্ষে করে কিছুটা রোজগার করলেও টান তাঁর সেই কুটিরেই। শুধু গাছের উপর বাস নয়, তিনি নিজে গাছ লাগান ও যত্ন করেন সন্তানের মতো। এবারের ভরা ভাগীরথীর জলে তাঁর লাগানো গাছ ডুবে গেছে, যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে আছেন তিনি।

kaliachak এ হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশশিল্প, বিলিনের মুখে শতবর্ষের ঐতিহ্য 

শ্যামল সাধুর কথায়, “গাছই আমার জীবন, গাছই আমার পরিবার। বাকি জীবনটাও গাছের সঙ্গে গাছেই কাটিয়ে দেব।”

আজকের ভোগবাদী জীবনে যেখানে মানুষ প্রকৃতিকে অবহেলা করছে, সেখানে নবদ্বীপের এই গাছ বাবা মানুষকে নতুন করে প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছেন।

26 thoughts on “Nadia’s tree father গাছের ডালে সংসার বেঁধে ২৭ বছর

  1. I was just searching for this info for a while. After six hours of continuous Googleing, at last I got it in your website. I wonder what’s the lack of Google strategy that do not rank this kind of informative websites in top of the list. Normally the top websites are full of garbage.

  2. When I initially commented I clicked the “Notify me when new comments are added” checkbox and now each time a comment is added I get three e-mails with the same comment. Is there any way you can remove me from that service? Appreciate it!

  3. Hiya, I’m really glad I’ve found this info. Today bloggers publish just about gossips and web and this is actually annoying. A good web site with interesting content, this is what I need. Thank you for keeping this website, I will be visiting it. Do you do newsletters? Can’t find it.

  4. Po takich lekturach człowiek uświadamia sobie, jak istotne jest dbanie nie tylko o bezpieczeństwo domu, ale też o własne zdrowie i regenerację na co dzień. Wielu osobom pomaga znalezienie chwili wyciszenia i odprężenia, np. w spokojnym miejscu takim jak Honey Room Massage, gdzie można rozładować stres i zadbać o organizm po wymagającym dniu.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *