deadbody গ্রামে ফিরল শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ

ideadbody in coffin

deadbody ডিজিটাল বেঙ্গল, মালদা, ২৪ মেঃ ফের গ্রামে ফিরল পরিযায়ী শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ।শনিবার সকালে ওই শ্রমিকের দেহ ফিরতেই শোকের ছায়া নেমে আসে ইংরেজবাজার থানার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদিয়াবাধা গ্রামে।

রাজ্য সরকারের দাবি, বর্তমানে বাংলায় কাজের অভাব নেই। এই রাজ্যের সকলের কাজের ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তব তো অন্য কথা বলছে। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।গ্রামেগঞ্জে ১০০ দিনের কাজও প্রায় থমকে রয়েছে।সামান্য কিছু ক্ষেত্রে কাজ রয়েছে, তবে সেখানেও রোজগার অনেক কম।রয়েছে কাটমানির অভিযোগ। বাধ্য  হয়ে অনেকে পাড়ি দিচ্ছে বাইরের রাজ্যগুলিতে। সেখানে নির্মাণ শিল্পে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন ভালো। এলাকায় মনের মতো কাজ না পেয়ে শোভানগর পঞ্চায়েতের কর্ণাটকে পাড়ি দিয়েছিলেন শেখ বুলু। সংসারের হাল ধরতে গত চার মাস আগে কর্নাটকের হুবলি জেলায় টাওয়ারের কাজে গিয়েছিলেন বুলু। কিন্তু সেখানে গিয়েই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে টাওয়ার তৈরির সরঞ্জাম গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ফোন মারফত বাড়ির লোক আগেই খবর পেয়ে গিয়েছিল।মঙ্গলবার তাঁর কফিনবন্দি দেহ গ্রামে এসে পৌঁছায়। মৃত শেখ বুলুর পরিবারে স্ত্রী এবং নাবালক ২ সন্তান রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের রোজগারের একমাত্র মাথাকে হারিয়ে দিশেহারা এবং শোকাচ্ছন্ন মৃত শ্রমিকের স্ত্রী খুশবারি খাতুন।

খূশবারি খাতুন বলেন, স্বামীর রোজগারেই কোনরকমে সংসার চলত। কিন্তু এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে খুব একটা বেশি রোজগার হত না। এছাড়া প্রতিদিন কাজো পাওয়া  যেত না। বাধ্য হয়ে প্রায় চার মাস আগে আমার স্বামী কর্ণাটকের একটি টাওয়ার কোম্পানিতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যে এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে, তা ভাবতেও পারিনি। বাড়িতে দুটি নাবালক সন্তান রয়েছে। কীভাবে তাদের মানুষ করব, সেই চিন্তাতে রাতের ঘুম উড়েছে।

 কাশ্মীরে নিখোঁজ হরিশ্চন্দ্রপুরের নাবালক পরিযায়ী শ্রমিক

এদিকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল রহমান সিদ্দিকী। তিনি মৃত শ্রমিকের পরিবারকে সমস্তরকম সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে মৃত শ্রমিকের দুই নাবালক শিশুর আগামীতে পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। তিনি জানান, ওই শ্রমিকের পরিবারের পাশে আমি রয়েছি। এছাড়াও তাঁর নাবালক সন্তানদের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব আমি নিজেই নেব।

prime minister প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা

2 thoughts on “deadbody গ্রামে ফিরল শ্রমিকের কফিনবন্দি দেহ

  1. Excellent post. I was checking continuously this blog and I’m
    impressed! Very helpful info specifically the last part :
    ) I care for such info much. I was seeking this certain information for a long time.
    Thank you and good luck.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *