water problem ডিজিটাল বেঙ্গল, চাঁচল, ২২ মেঃ জ্যৈষ্ঠ মাস পড়তেই তীব্র জলসংকট।দুয়েকদিনের নয়, এই সমস্যা চলে আসছে পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে।এর আগে পিএইচই থেকে পানীয় জল দেওয়ার জন্য পাইপ বসানো হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল টাকা। কিন্তু কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই পাননি চাঁচল ২ ব্লকের পুরাতন খানপুরের বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে পানীয় জলের দাবিতে বৃহস্পতিবার তাই বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাঁড়ি, কলসি, বালতি নিয়ে সেই বিক্ষোভে যোগ দেন মহিলারাও।
টাকা দিয়েও মেলেনি জল। পানীয় জলের জন্যে তুমুল বিক্ষোভ। কল আছে জল নেই! ভরসা শুকিয়ে যাওয়া মহানন্দা নদীর ঘোলা নোংরা জল।ফলে সমস্যায় চাঁচল ২ ব্লকের পুরাতন খানপুরের প্রায় চার শতাধিক পরিবার।পানীয় জলের জন্য গভীর নলকূপ থাকলেও সেই জল আর্সেনিকযুক্ত বলে অভিযোগ।আর্সেনিকের বিষে ভরা সেই জল খেলেই রোগের শিকার হতে হয়। পানীয় জল গৃহস্থালির কাজের জন্য গ্রামের পাশে থাকা মহানন্দা নদীর উপর ভরসা করতে হয় গ্রামবাসীকে।পানীয় জলের দাবিতে রাস্তায় বালতি রেখে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা।জৈষ্ঠের তীব্র গরম জলসঙ্কট নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় সরব বাসিন্দারা।
অভিযোগ,২০১৫ সালে এলাকায় পিএইচই প্রকল্প তৈরি হওয়ার পর বাড়ি বাড়ি সংযোগ হিসেবে নল বসানো হয়।সেই সংযোগ দেওয়ার জন্য আধার কার্ডের সঙ্গে ১৫০ টাকা করেও নিয়ে নেওয়া হয়।তারপরে পাঁচ থেকে ছয়টা বছর কেটে গিয়েছে।কিন্তু আজ অবধি এক ফোঁটা জল পাননি বাসিন্দারা। এলাকায় নেতা জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গেলে প্রতিশ্রুতি দেন।কিন্তু সমস্যা মেটেনি।পঞ্চায়েতের তরফেও পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই এলাকায় বলে অভিযোগ।বাধ্য হয়েই তাই আজ আন্দোলনে নামেন খানপুরের বাসিন্দারা।
খানপুর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, প্রায় ছয় বছর আগে পরিস্রুত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাইপলাইন বসানো হয়। আধার কার্ড ও নগদ দেড়শ টাকা করে আমাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকবছর পার হয়ে গেলেও আজও পরিস্রুত পানীয় জল মেলেনি। বাধ্য হয়ে আমাদের মহানন্দা নদী বা এলাকার পুকুরের জলের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভোট এলেই বিভিন্ন দলের নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় আসেন। কিন্তু তাঁদের কাছে শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই মেলে না। এমনকি স্থানীয় পঞ্চায়েতও আমাদের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায় না। বাধ্য হয়ে তাই আজ গ্রামের সকলে মিলে পথে নেমেছি।
prime minister প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা
One thought on “water problem টাকা দিয়েও মেলেনি জল, বিক্ষোভ খানপুরে”