ওয়েব ডেস্ক, মালদা, ১৭ মেঃ উত্তরে পদ্মপুকুরে পানা ফেলে দিতে তৃণমূল নেত্রী আস্থা রাখলেন আবদূর রহিম বক্সীর ওপরেই। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে ফের আবদূর রহিম বক্সীকেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মালদা জেলা তৃণমূল তাঁর নেতৃত্বেই লড়াই করবে। তবে গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত তৃণমূলকে এই পোড় খাওয়া নেতা কতটা মাইলেজ দিতে পারবেন, তা জানা যাবে বিধানসভা ভোটের পরেই।
রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশের পর থেকেই বাম রাজনীতিতেই আস্থা রেখেছিলেন আবদূর রহিম বক্সী। আরএসপির টিকিটে মালতীপুর বিধানসভা আসন থেকে একাধিকবার জয়ী হয়েছেন।বাম জমানায় শুধু মালতীপুর নয়, কার্যত চাঁচল সহ মালদা জেলাজুড়ে দাপটের সঙ্গে তিনি রাজনীতি করেছেন।বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি।
তবে ২০১১ সালে রাজ্যে বাম জমানার অবসান ঘটলেও রঙ বদলাতে কিছুটা সময় নেন মালতীপুরের এই বিধায়ক। পরে জল মেপে এবং নিজের সহ পরিবারের রাজনৈতিক অস্তিত্ব সুরক্ষিত করতে আশ্রয় নেন তৃণমূলে। পুরস্কারও জুটেছিল। তৃণমূলের টিকিটেই তিনি মালতীপুর বিধানসভা থেকে পুনরায় বিধায়ক হন। উপরি পাওনা হিসেবে বছর কয়েক আগে জোটে জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ। দায়িত্ব বাড়ার পরেও তিনি একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন। কখনও প্রকাশ্য সভা থেকে বিরোধীদের দেখে নেওয়ার হুমকি, আরএসপি পার্টি অফিস বিক্রি করে দেওয়া, স্থানীয় একটি ঐতিহ্যবাহী হাট দখলের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে একজন রাজনীতিবিদের সেসবকে পাত্তা না দিয়েই তিনি নিজের স্থানে অনড় থেকেছেন। মালতীপুর সহ চাঁচলের একাধিক বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়েছেন।
গত লোকসভায় উত্তর মালদার প্রায় সমস্ত আসনে বিজেপি কিছুটা এগিয়ে থাকায় তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। উত্তর মালদার চাঁচল মহকুমার একাধিক আসনে সংখ্যালঘু ভোট যেকোনো দলের তরফে জয়ের জন্য বড় ফ্যাক্টর।এছাড়া দক্ষিণ মালদার ভোটারদের একটা বড় অংশও সংখ্যালঘু। সম্ভবত সেই ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখেই আবদূর রহিম বক্সী্র হাতেই পুনরায় মালদা জেলা তৃণমূলের ব্যাটন তুলে দেওয়া হল বলে মনে করছে জেলা রাজনৈতিক মহল।