ডিজিটাল বেঙ্গল, নদীয়া, ৩ মেঃ মর্মান্তিক ঘটনা। জীবনে প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ায় নিজেকেই শেষ (Suicide) করে দিল এক কিশোরী। ঘটনায় কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার পরেশনাথপুর গ্রামে। দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশে পরের দিনেই অর্থাৎ আজ সে এই দুর্ঘটনা ঘটায়।
মৃত ছাত্রীর নাম তিস্তা সরকার। বয়স আনুমানিক পনের বছর। নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া পরেশনাথপুর গ্রামে তার বাড়ি। পড়াশোনা করতো ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে। এবার এসে মাধ্যমিক দিয়েছিল। আশা ছিল পাশ করবে। কিন্তু শুক্রবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায় সে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। বাড়ি ফিরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ছাত্রী। পরিবারের লোকজন কিছু না বললেও বিকেলের দিকে এসে তো হঠাৎ দরজা লাগিয়ে দেয়। বিক্রি করে দরজা বন্ধ থাকায় বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। বাইরে থেকে ডাকাটাই করেও কোন সাড়া মেলেনি। পরিবারের সদস্যতে চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। সকলের সহযোগিতা নিয়ে ঘরের দরজা ভাঙ্গা হয়। এরপরই দেখা যায় নিজের ঘরে সিলিং এর সঙ্গে গলায় ফাঁস (Suicide) লাগিয়ে ঝুলে রয়েছে, সাত ছাত্রীটি। খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া থানায়। প্রাথমিক তদন্তের পর দেহটি ময়নাতদনের জন্য রাণাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এবিষয়ে তিস্তা সরকারের পরিবারের এক সদস্য বলেন, পড়াশুনায় ঠিক ভালো ছিল না তিস্তা। তবে কখনো বাড়ির তরফে পড়াশোনার জন্য চাপ দেওয়া হত না। হয়তো মাধ্যমিকে খারাপ ফলের কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে কি কারণে সে আত্মঘাতী হলো তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই তিস্তার আত্মঘাতীর ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
Madhyamik Results | মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিকে প্রথম কালিয়াচকের দুই পড়ুয়া