ডিজিটাল বেঙ্গল, মুর্শিদাবাদ ২৬ এপ্রিল–হাইকোর্টের শর্ত মেনেই আজ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে এলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।সামশেরগঞ্জ, সুতি, জঙ্গিপুরের বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। এছাড়াও জাফরাবাদে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়ে যাওয়া বাবা ও ছেলের বাড়িতে যান তিনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমবেদনা জানান। আশ্বাস দেন পাশে থাকার। এছাড়াও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তিনি দশ লক্ষ টাকাও তুলে দেন।
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশে সেই আন্দোলন হিংসাত্মক চেহারা নেয়। সূতি, জঙ্গিপুর,ধূলিয়ান,সামশেরগঞ্জের মতো জায়গায় সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। চলে অবাধে ভাঙচুর, লুটপাঠ।আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাড়ি থেকে টেনে বের করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বাবা ও ছেলেকে। এই ঘটনাকেভ কেন্দ্র করে শুধু রাজ্য নয়, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যেতে থাকলে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়।
অভিযোগ ওঠে, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য বিশেষ কিছু রাজনৈতিক দল অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে এলাকায় আপাতত শান্তি ফিরেছে। সেই এলাকাগুলি ঘুরে দেখার জন্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন করলে ছাড়পত্র মেলেনি। অবশেষে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে শুভেন্দুকে এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেইমতো আজ তিনি সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করার পর হাজির হন জাফরাবাদে। সেখানে নিহত বাবা ও ছেলের বাড়িতে যান। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান।সেইসঙ্গে ওই পরিবারের হাতে দশ লক্ষ টাকাও তুলে দেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানান,ভোটের স্বার্থে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে তোষণ করে চলেছে।তারা একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িয়ে পড়লেও পুলিশ নিস্ক্রিয় থাকছে। বাংলায় হিন্দুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত।তাই নিজেদের স্বার্থেই সকলকে এক হয়ে আগামী ছাব্বিশের বিধানসভায় এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।
One thought on “জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের বাড়িতে শুভেন্দু, দিলেন দশ লক্ষ টাকা অনুদান”