সন্ত্রাসবাদকে শিক্ষা দিতে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

PM holds meeting to teach lessons to terrorism

ওয়েব ডেস্ক, ডিজিটাল বেঙ্গল, ৩০ এপ্রিল ঃ কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। তবে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের স্মৃতি এখনও যেন তাজা মানুষের মনে। জঙ্গিদের আর কোনোমতেই যে রেয়াত করা হবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদকে সমুচিত শিক্ষা দেওয়াই এখন জাতীয় সংকল্প ৷ মঙ্গলবার লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে উচ্চস্তরীয় বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সরকারি সূত্রে খবর, সেখানে তিনি এই কথা জানিয়েছেন ৷বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ ইফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান এবং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং ও নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী ৷

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্ট জানিয়েছেন পাকিস্তানকে কখন, কীভাবে জবাব দেওয়া হবে । সেই বিষয়টি তিনি দেশের তিন বাহিনীর উপর ছেড়ে দিচ্ছেন ৷ তিনি বলেন, আমাদের বাহিনীর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে ৷ তারা সিদ্ধান্ত নেবে, ভারত কাকে নিশানা করবে, মোড কী হবে এবং কখন করবে ৷ সন্ত্রাসবাদকে ধ্বংস করে দেওয়াই এখন আমাদের জাতীয় সংকল্প ৷

এদিনের বৈঠকের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন তিনটি আধাসামরিক বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চস্তরীয় বৈঠক করেন ৷ এছাড়া অন্য দুই নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট জানা যায়নি ।

এদিকে এই হামলার ঘটনার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে লাইন অফ কন্ট্রোল (এলওসি)-তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালাতে শুরু করেছে পাক সেনা ৷ টানা পাঁচ দিন ধরে সীমান্তে গুলি চালাচ্ছে তারা৷ ভারতের পাঁচটি পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও তাদের আকাশপথ ভারতের জন্য বন্ধ করেছে ৷ এছাড়া বন্ধ হয়েছে ভারত-পাক আটারি-ওয়াঘা আন্তর্জাতিক সীমান্ত ৷ ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের পাল্টা জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জল বন্ধ হলে তাকে যুদ্ধ বলেই গণ্য করা হবে৷ তবে পাকিস্তানের সেই হুশিয়ারিকে আমল দিতে নারাজ ভারত। পাকিস্তানিদের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের দমন করাই এখন ভারতের মূল লক্ষ্য। এর জন্য ভারত সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের শত্রুদের নিকেশের এই ভার তিনি দেশের সেনাবাহিনীর হাতেই ছাড়তে চান। তাই সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *