ওয়েব ডেস্ক, ডিজিটাল বেঙ্গল, ২২ এপ্রিল- রাজ্য বিধানসভায় বামেরা শূন্য। একই পরিণতি লোকসভাতেও। একাধিক ভোটে কংগ্রেস ও আইএসএফের হাত ধরে সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এবার দলের রাশ ইয়ং ব্রিগেডের হাতেই ছাড়তে চায় সিপিএম। তার অঙ্গ হিসেবেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে ঠাই পেতে চলেছেন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষ্মী মূখার্জি। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি মীনাক্ষ্মীকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পালটা মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে সিপিএম। এই মুহুর্তে সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনে একাধিক জনপ্রিয় নেতানেত্রী থাকলেও সারাবছর মাঠেঘাটে ঘুরে রাজনীতি করার ক্ষেত্রে এই তরুণ নেত্রীর অভিজ্ঞতা যথেষ্ট বেশি। তাই তাকেই কি তবে ‘ভোট ক্যাচার’ করতে চাইছে সিপিএম।পার্টির নতুন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে মীনাক্ষীর সঙ্গে জায়গা হয়েছে আরও এক নতুন মুখের ৷ তিনি হলেন পূর্ব বর্ধমানের নেতা সৈয়দ হোসেন ৷
সোমবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক হয় মুজাফফর আহমেদ ভবনে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রামচন্দ্র ডোম ৷ সেখানেই এই তালিকা চূড়ান্ত হয় ৷ বয়সজনিত কারণে রাজ্য কমিটি থেকে আগেই বাদ পড়েছিলেন দুই প্রবীণ নেতা জীবেশ সরকার ও অমিয় পাত্র। এবার সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও বাদ পড়লেন তাঁরা। সিপিএমের ১৫ জনের যে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী গড়ে তোলা হয়েছে, সেখানে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম, রামচন্দ্র ডোম, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, আভাস রায়চৌধুরী, শমীক লাহিড়ী, সুমিত দে, দেবলীনা হেমব্রম, দেবব্রত ঘোষ, অনাদি সাহু, কল্লোল মজুমদার, পলাশ দাশ, জিয়াউল আলম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং সৈয়দ হোসেন ৷
শুধু মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় নন, পূর্ব বর্ধমানের সৈয়দ হোসেনকেও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য করা হয়েছে। ফলে, সবমিলিয়ে বর্ধমান থেকে তিনজন নবগঠিত সম্পাদকমণ্ডলীতে জায়গা করে নিলেন। যদিও, মীনাক্ষী সরাসরি জেলা থেকে রাজ্য কমিটিতে আসেননি ৷ ডিওয়াইএফআইয়ের সম্পাদক হওয়ার সুবাদে তাঁকে রাজ্য কমিটিতে নিয়েছিল সিপিএম। এরপর এপ্রিল মাসের শুরুতে মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত দলের ২৪ তম পার্টি কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পান মীনাক্ষী।তার পরপরই সিপিএমের অন্দরে মীনাক্ষীকে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে নেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। এবার সেই গুঞ্জন বাস্তব হল।
শুধু তাই নয়, বয়সের নিরিখে এবং সংগঠনের বিধি মেনে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ডিওয়াইএফআইয়ের সম্পাদক পদ ছাড়তে হবে। আগামী মে মাসে মুর্শিদাবাদের ডিআইএফআইয়ের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দলের যুব সংগঠনের নতুন নেতাকে বেছে নেওয়া হয় ৷উল্লেখ্য, রবিরার সিপিএমের একাধিক গণসংগঠনের ডাকে ব্রিগেড প্যারাগ্রাউন্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহম্মদ সেলিম ছাড়া নতুন পাঁচ বক্তাকে দিয়ে ব্রিগেডের সমাবেশ সম্পূর্ণ করে সিপিএম। কিন্তু, সেই তালিকায় নাম ছিল না মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে জেলা থেকে ব্রিগেডে আগত কমরেডদের গলায় আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল। এবার তাঁকেই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে আনা হল৷
3 thoughts on “মমতার পালটা মুখ কি মীনাক্ষী, ঠাই দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে”