ডিজিটাল বেঙ্গল, কালিয়াচক, আসাদুল হক, ১৬ এপ্রিল— শুধু জেলা নয়, রাজ্যের অর্থনীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে কালিয়াচক। পরিকাঠামো পর্যাপ্ত রয়েছে। রয়েছে লোকবল। তবুও কিছু মানুষের সদিচ্ছা ও অসহযোগিতার কারণে কালিয়াচক আজও রয়ে গিয়েছে বঞ্চিতের তালিকায়।শুধুমাত্র যোগ্য জননেতা তৈরি হলেই কালিয়াচক শুধু রাজ্য নয়, দেশের মানচিত্রেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করতে পারে। এর জন্য চাই একজন প্রকৃত অভিভাবক। এমনটাই মনে করেন কালিয়াচক ১ ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা মালদা জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ আরেফুর রহমাজন মিয়াঁ।
প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বাস কালিয়াচকে।এখানকার আম ও লিচু দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে।রয়েছে কয়েকশো প্লাস্টিকের কারখানা। সেগুলিতে কর্মসংস্থান হয় কয়েক হাজার মানুষের। বর্তমানে কলকাতার মেটিয়াবুরুজকে ছাপিয়ে দেশের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ রেডিমেড কাপড়, কুর্তি, ওড়নার কারখানাগুলি রয়েছে কালিয়াচক ও সুজাপুরে। এমনকি শুনতে আশ্চর্যজনক মনে হলেও সারাদেশে যেখানে কাপড় সাপ্লাই করে গুজরাট, সে গুজরাটেও তৈরি কাপড় যাচ্ছে কালিয়াচক থেকে।
এতকিছু থাকার পরেও শুধুমাত্র যোগ্য নেতার অভাবে সাধারণ মানুষ বহু পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করেন তৃণমূলের এই নেতা।
তাঁর কথায়,কালিয়াচকে যেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের আনাগোনা হয়, সেখানে স্থায়ী কোনও বাস ডিপো নেই।এমনকি কালিয়াচক চৌরঙ্গী মোড়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ও নেই! এগুলি কালিয়াচকের লজ্জা! কালিয়াচকের জনপ্রতিনিধিদের লজ্জা! কালিয়াচকের তথাকথিত নেতাদের লজ্জা! কালিয়াচক চৌরঙ্গীতে অনেকসময় পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে যেতে হয় ভিতরে কোনো মার্কেটের বাথরুমে অথবা কারো বাড়িতে। কখনো বৃষ্টিতে ভিজে কখনো রৌদ্রে পুড়ে মনের মধ্যে কষ্ট নিয়েই প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। ভোট আসে ভোট যায়। নেতা বদলায়। কিন্তু কালিয়াচক প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পায়নি।
আরিফুর সাহেব আরো জানান, গতবার জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষ থাকাকালীন কালিয়াচক চৌরঙ্গী মোড়ে আমি একটি শৌচালয় ও পানীয় জলাধার তৈরি করে দিয়েছিলাম। বাস ডিপো করার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলাম।মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই প্রক্রিয়া শুরু হলেও জমিজটে কাজ আটকে যায়। বর্তমানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের অসুবিধা হচ্ছে দেখে আমি নির্দিষ্ট দপ্তরগুলিতে কোনও জায়গায় সরাসরি এবং কোনয়া জায়গায় চিঠি পাঠিয়ে যোগাযোগ করেছি। দীর্ঘ২৬-২৭ বছর ধরে কালিয়াচকের জনসাধারণের পাশে আছি এবং যতদিন বাঁচবো, ততদিন মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব।
কালিয়াচকের বাসিন্দা মনুময় মুখার্জী বলেন, কালিয়াচক হচ্ছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এবং এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ব্যবসার জন্য, চাকরির জন্য আসে। কিন্তু এখানে একটি বাস টার্মিনাল নেই। যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পরিশ্রুত জলের ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রতিদিন মানুষজনকে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যখন তখন ফুটপাত খালি করা হচ্ছে। আবার ফুটপাত বসছে। কিন্তু কোনও ধরনের কাজ হচ্ছে না। এখানে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারকে এগিয়ে এসে কালিয়াচকের প্রয়োজনের কাজগুলি করা দরকার।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.
buy amoxil cheap – comba moxi buy generic amoxicillin online