মুর্শিদাবাদ, ১৪ মেঃ মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎই কালবৈশাখীর তান্ডব রঘুনাথগঞ্জজুড়ে। আর তাতেই পৃথক পৃথক স্থানে বাজ পড়ে মৃত্যু হল দুজনের।আহত হয়েছেন আরো একজন।
মঙ্গলবার সারাদিন ধরেই ছিল প্রবল তাপপ্রবাহ। কিন্তু বিকেলের দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে বিকেলের দিকে হঠাতই কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় দমকা হাওয়া। সেইসঙ্গে চলতে থাকে বজ্রপাত। কালবৈশাখী শুরু হওয়ার আগেই বাইরে বেরিয়েছিলেন রঘুনাথগঞ্জের বাঘাগ্রামের বাসিন্দা সমর রায় ও শ্যালক জয়ন্ত রায়। সমরবাবু বাঘাগ্রামের বাসিন্দা হলেও তাঁর শ্যালক জয়ন্ত রায়ের বাড়ি মালদা জেলায়। রঘুনাথগঞ্জে থেকেই তিনি জামাইবাবুর সঙ্গে তক্ষকের বিল দেখাশোনা করতেন। হঠাত করে কালবৈশাখীর পাশাপাশি শুরু হয় ঘনঘন বজ্রপাত। সেই বজ্রপাতেই শ্যালক ও জামাইবাবু দুজনেই গুরুতরভাবে জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই শ্যালক জয়ন্ত রায়কে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা ক্রেন।জামাইবাবু সমর রায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত ও আহতের পরিবারে।
এছাড়াও আকাশ মেঘলা থাকলেও রঘুনাথগঞ্জের জোতকমল এলাকায় একটি মাঠে ফুটবলের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন প্রশিক্ষক সাবিরুল শেখ। সেইসময় হঠাতই কালবৈশাখীর ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। অন্যরা কোনোরকমে প্রাণে বাঁচলেও বজ্রাঘাতের শিকার হন সাবিরুল শেখ।খোলা মাঠে একটি বাজ তাঁর ওপর পড়লে তিনিও গুরুতরভাবে জখম হন। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাঁকেও তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা সাবিরুল শেখ নামে ওই ফুটবল প্রশিক্ষককেও মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিষয়টি জানতে পারার পরেই স্থানীয় থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। একজন প্রতিভাবান ফুটবল প্রশিক্ষক তথা খেলোয়াড়কে হারিয়ে যেমন শোকগ্রস্ত তাঁর ছাত্র সহ অনুগামীরা। তেমনই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারেও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
One thought on “Kalbaisakhi | কালবৈশাখীর তাণ্ডবে অঘটন তিনজনের”