জতুগৃহ কলকাতার হোটেল, মৃত ১৪

Jatugriha Kolkata hotel, 14 dead

ডিজিটাল বেঙ্গল, কলকাতা, ৩০ এপ্রিলঃ মৃত্যুকূপ বড়বাজারের হোটেল। বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের ফলপট্টি এলাকায় একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছেন ১৪ জন। আহত আরো অনেকে। আগুনের আতঙ্কে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিলে সঞ্জয় পাসোয়ান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধ ও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আরও ১৪ জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে। আহত বহু মানুষকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।খবর পেয়ে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হোটেলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।রাতেই এলাকায় যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।তবে তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে পৌনে আটটার মধ্যে বড়বাজারের মেছুয়াপট্টিতে ঋতুরাজ নামে হোটেলটিতে আগুন লাগে। প্রবল ধোঁয়ার জেরে হোটেলের ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। ফলে ফলপট্টির অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের৷ গুরুতর আহত হয়েছেন ১৩ জন। মোট ১৪ জনের মৃত্যু হলেও আটজনের দেহ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আহত ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

রাতেই  ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাজা-সহ একাধিক নেতৃত্ব। কী কারণে আগুন লাগল,তা জানতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতার নগরপাল বলেন, রাত সোয়া আটটা নাগাদ ঋতুরাজ হোটেলে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১৪টি মৃত এবং বেশ কয়েকজনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে প্রকাশ করে তিনি বলেন, কলকাতার বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টিতে হয়ে যাওয়া বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, খোদ মহানগরী কোলকাতা জতুগৃহ হয়ে আছে। এর আগেও কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন সময়ে কোলকাতায় ঘটে যাওয়া উপর্যুপরি অগ্নিকাণ্ডের পর আমরা বারম্বার এই রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের ব্যর্থতা এবং কোলকাতা কর্পোরেশনের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে এসেছি। বড়বাজারের ঘটনাতেও সেই একই ব্যাপার। স্থানীয় কাউন্সিলরও এই ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন না।

3 thoughts on “জতুগৃহ কলকাতার হোটেল, মৃত ১৪

  1. I haven’t checked in here for some time as I thought it was getting boring, but the last few posts are good quality so I guess I will add you back to my daily bloglist. You deserve it my friend 🙂

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *