ডিজিটাল বেঙ্গল, কালিয়াচক, ৫ মে — বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড (Fire) মাঝরাতে। পুড়ে ছাই কাঠের কারখানা। রবিবার রাতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কালিয়াচক থানার অন্তর্গত কালিচক ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর গিয়াসু মোড়ে। আজ সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন সামগ্রীর ধ্বংসাবশেষ। খবর পেয়ে এলাকায় যান মালদা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আবদূর রহমান।
কারখানার মালিক আজিজুর রবিবার রাত সাড়ে আটটায় কারখানা বন্ধ করে বাড়ি যান। রাত প্রায় বারোটা নাগাদ ফোন মারফত কারখানায় আগুন লাগার খবর জানতে পারেন। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় দমকলে কিন্তু দমকল আসার আগেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কিভাবে আগুন লাগল তা বুঝতে পারছি না। তবে ঘটনায় প্রায় চার লাখের বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কালিয়াচকের আলিপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর মোমিন। পেশায় একজন কাঠের ব্যবসায়ী। বেশ কিছুদিন আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ করে গিয়াসু মোড়ে তিনি নিজেই একটি কাঠের কারখানা তৈরি করেন। সেখানে কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি হতো। মোটামুটি ভালোই চলত কারখানাটি। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতেও কাজ শেষ করার পর কারখানা বন্ধ করে বাড়ি চলে যান আজিজুর মমিন। আর রাতের অন্ধকারে ঘটে যায় বিধ্বংসী ঘড়ি কাণ্ড। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাই তাই সমস্ত কিছুই। আজিজুর মমিন বলেন, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কাঠের কারখানা বন্ধ করে বাড়ি আসি। খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি। প্রায় বারোটা নাগাদ মোবাইল ফোন মারফত জানতে পারি আমার কারখানায় আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটরাস্থলে ছুটে যাই। এলাকার সকলেই আগুন নেভানো কাজে হাত লাগান। মালদা জেলা দমকল কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু দমকল এসে পৌঁছানোর আগেই শেষ হয়ে যায়। তবে বিভিন্ন জায়গায় ঋণ করে কাজ শুরু করেছিলাম। সেই টাকা এখন শোধ করব, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।
এপ্রসঙ্গে মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আবদূর রহমান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। দমকলে খবর দেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন মালদা থেকে এসে পৌঁছায়। অনেক দূর থেকে আসার জন্যই দমকল সময়মত পৌছাতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব। এছাড়াও কালিয়াচকের দীর্ঘদিন ধরেই একটি দমকল কেন্দ্র গড়ে গড়ে তোলার দাবি রয়েছে। সেই দাবিমতো জায়গাও দেখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে সমস্ত বিষয়টি নবান্নে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি মিললেই দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ শোধের বিষয়েও কোনোরকমভাবে সহযোগিতা করা যায় কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।