ডিজিটাল বেঙ্গল, কালিয়াচক, ১ মেঃ দাবি উঠেছে বহুবার। প্রশাসন থেকে শুরু করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সকলে আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই।জমিজটে কালিয়াচকে আজও গড়ে ওঠেনি দমকলকেন্দ্র (Fire station)। তবে সেই সমস্যা এবার নাকি মিটতে চলেছে। এমনটাই দাবি করেছেন মালদা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আবদূর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, যদুপুর এলাকায় একটি জমি চিহ্নিত করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। সেই প্রস্তাব অনুমোদন পেলেই খুব তাড়াতাড়ি কালিয়াচকে দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজে হাত দেওয়া হবে।
কালিয়াচক চৌরঙ্গী মোড়ে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বেশ কিছু ফলের দোকান
একসময় দুষ্কৃতীদের আঁতুড় হিসেবে কালিয়াচকের দুর্নাম ছিল। চুরি, ছিনতাই,খুনের মতো ঘটনা ছিল প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক।বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে এই এলাকা ছিল চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য। মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল সাধারণ মানুষের জীবন। কিন্তু সময় বদলেছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও প্রশাসনের ধারাবাহিক অভিযানে এখন বেশিরভাগ সমাজবিরোধী ও চোরাকারবারী সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছে।জেলার বৃহত্তম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে এখন কালিয়াচকের নাম প্রায় সারা রাজ্যে সুবিদিত।শিক্ষার আলো পথ দেখিয়েছে সমাজকে।প্রায় কয়েকশো সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত শিক্ষা বিস্তারের কাজ করে চলেছে। এছাড়াও গড়ে উঠেছে বহু নার্সিং হোম,শপিং মল, জামাকাপড় তৈরির কারখানা। এছাড়াও সুজাপুর থেকে শুরু করে কালিয়াচক, বৈষ্ণব নগর পর্যন্ত গড়ে উঠেছে কয়েকশো প্লাস্টিকের কারখানা। সেখানে কর্মসংস্থান হচ্ছে বহু মানুষের।
জাতীয় স্তরের মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় নজর কাড়া সাফল্য পেল পুরাতন মালদা
কিন্তু প্রদীপের নীচে যেমন অন্ধকার থাকে, ঠিক কালিয়াচকের মানুষের বহু দাবিও আজ অধরা। কয়েক দশক থেকে এলাকায় একটি স্থায়ী দমকলকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়া আসছেন সাধারণ মানুষ।কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় আট দশকের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও সেই দাবি পূরণ হয়নি।ফলে কোথাও আগুন লাগলে নির্ভর করে থাকতে হয় মালদা জেলা সদরের ওপর। সেখান থেকে দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছানোর আগেই সব শেষ হয়ে যায়।
সুজাপুরে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ৬টি প্লাস্টিক গোডাউন, ক্ষতি প্রায় ৮০ লক্ষ, দমকল কেন্দ্র গড়ার দাবি
কালিয়াচকের বাসিন্দা মহম্মদ রফিকুল্লার দাবি, সেই বাম জমানা থেকে আমরা কালিয়াচকে একটি স্থায়ী দম কলকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছি।মালদা তথা জাতীয় রাজনীতিতে কিংবদন্তি প্রয়াত গণিখান চৌধুরী কালিয়াচকের বাসিন্দা ছিলেন। শুধু মালদা নয়, সারা দেশের বহু উন্নয়নে তাঁর হাত আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।কিন্তু তিনিও কালিয়াচকবাসীকে একটি দমকলকেন্দ্র উপহার দিতে পারেননি।এছাড়া মালদা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি শেফালী খাতুনও কালিয়াচকের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু তিনিও মানুষের এই দাবির মর্যাদা দিতে পারেননি।
কালিয়াচকে দমকল কেন্দ্রর জন্য জায়গা চিহ্নিত করল জেলা প্রশাসন
তবে সম্প্রতি কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আবদূর রহমান। তিনি বলেন, মূলত জমি নিয়ে সমস্যার কারণেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। এর আগে কালিকাপুরে জমি দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই জমি নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ার কারণে কাজ হয়নি। তবে এবার যদুপুরে একটি জমি দেখা হয়েছে। সেই জমিতে কোনো জটিলতা নেই। আমরা জেলার তরফে প্রস্তাব তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে অর্থ অনুমোদন হলেই কাজে হাত দেওয়া হবে। খুব তাড়াতাড়ি কালিয়াচকবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।এখন কবে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়, সেটাই দেখার। Fire station
labor organization শ্রমিক সংগঠনে সভাপতির পদ নিয়ে কাজিয়া কংগ্রেসে
Hi there very cool blog!! Man .. Beautiful .. Superb .. I’ll bookmark your web site and take the feeds also…I am happy to search out numerous useful info here within the submit, we need develop extra techniques on this regard, thank you for sharing. . . . . .