ওয়েব ডেস্ক, ডিজিটাল বেংল, ২৪ মেঃ কিছুদিন আগেই রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনের এক বধূর মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরো কয়েকজন। আর তারপরেই সামনে আসে রাজ্যজুড়ে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে জাল ওষুধের কারবার। জাল ওষুধ ঠেকাতে এবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য। ওষুধ বিক্রেতা এবং হোলসেলার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য। মোট 6 দফা নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগস কন্ট্রোল বিভাগ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হোলসেলারদের নিশ্চিত করতে হবে, তারা যেসব ওষুধ কিনছেন, তা মূল কোম্পানির থেকে যথাযথ চ্যানেল মারফত এসেছে কিনা। এর পাশাপশি, হোলসেলারদের লাইসেন্সের বৈধতা অনলাইন লাইসেন্স পোর্টালের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে।
আবার বলা হয়েছে, রাজ্যের বাইরে অবস্থানরত হোলসেলারদের অর্থপ্রদান করার সময় নিশ্চিত করতে হবে যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে কিনা। হোলসেলারদের জিএসটি নম্বর যাচাই করা বাধ্যতামূলক। সিডিউল এইচ2-এ অন্তর্ভুক্ত 300টি ওষুধের কিউআর কোড যাচাই করা সমস্ত হোলসেলারদের জন্য বাধ্যতামূলক। খুচরো বিক্রেতাদের ক্ষেত্রেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন সিডিউল এইচ2-এর অন্তর্গত 300টি ওষুধের কিউআর কোড হোলসেলারের কাছ থেকে কিনে নেওয়ার আগে যাচাই করেন।
দেশজুড়ে এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বিভিন্ন ওষুধের নমুনা পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ১৯৬টি ওষুধ তাদের গুণগত মানের দিক থেকে ‘ফেল’ করেছে। তারসঙ্গে দুটি ওষুধ পুরো জাল। এই দুই জাল ওষুধের একটির সম্পর্কে অ্যানিমিয়া রোগের ইনজেকশন-উৎপাদনকারী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে ব্যাচ নম্বর G303123টি জাল করে বাজারে ছাড়া হয়েছে। আর একটি জাল ওষুধের বিষয়ে ভিটামিন ডি থ্রি ট্যাবলেট-উৎপাদনকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ব্যাচ নম্বর 4D077301টি জাল করে বাজারে ছাড়া হয়েছে। এই দুটোই পরীক্ষায় ফেল করেছে।এছাড়াও,কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় গুণগত মানে ফেল করল আরও ১৯৬টি ওষুধ, যার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ। যেমন, চোখের জ্বালা-যন্ত্রণা ওষুধ, গ্যাসের ট্যাবলেট, প্রসবের আগে বা পরে ব্যথা ও যন্ত্রণা দূর করার ওষুধ। স্পেসিস ও অ্যাবডোমিনাল ইনফেকশন দূর করার ওষুধ। অ্যান্টাসিড এবং হজমের সমস্যা, অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা হয় এমন ওষুধ। আবার কম্পাউন্ড সোডিয়াম ল্যাকটেট ইনজেকশন পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের পর গুজরাতের আরও একটি কোম্পানির এই ইনজেকশন গুণগত মানে ফেল করেছে। সেটা হল, ব্যথা যন্ত্রণার জন্য ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন রোধের জন্য ব্যবহৃত একটি ওষুধ।
One thought on “Fake Medicines | জাল ওষুধের কারবার রুখতে ছয় দফা নির্দেশিকা রাজ্যের”