কর্ণাটকের রামনগরে ১৫ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী কিশোরীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যার পর জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। মঙ্গলবার রামনগর তালুকের ভদ্রপুর হাক্কি-পিক্কি কলোনির উপকণ্ঠে রেললাইনের কাছে মেয়েটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। মেয়েটি বধির এবং বোবা ছিল এবং তার বাবা মারা গেছেন। সে তার মায়ের সাথে থাকত।
বলা হচ্ছে যে সে যথারীতি তার বাড়ির বাইরে খেলছিল, কিন্তু রবিবার বিকেল ৫টার পর সে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার পরিবার প্রথমে ভেবেছিল সে রাতে ফিরে আসবে, কিন্তু যখন সে ফিরে না আসে, তখন তার আত্মীয়রা তাকে খুঁজতে শুরু করে। পরের দিন সকালে অর্থাৎ সোমবার রেললাইনের কাছে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করা হয়েছিল। স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়দের সন্দেহ, মেয়েটিকে অন্ধকারে রেললাইনের কাছে টেনে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বারদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, তদন্তের জন্য ডগ স্কোয়াড এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগামীকাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার কথা রয়েছে, যা নিশ্চিত করবে যে হত্যাকাণ্ডটি ধর্ষণের আগে হয়েছিল নাকি এটি ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা ছিল। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
রামনগরের এসপি শ্রীনিবাস গৌড়া জানিয়েছেন যে, ভুক্তভোগীর পরিবার একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রাথমিক তদন্তে যৌন নির্যাতনের কোনও বাহ্যিক লক্ষণ দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তে যদি কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করা হবে।
Moon: চাঁদের মাটিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র, মউ স্বাক্ষর করল চিন ও রাশিয়া, উদ্বিগ্ন NASA