chilld murder ডিজিটাল বেঙ্গল, নদীয়া, ২২ মেঃ কলঙ্কিত মাতৃত্ব। মায়ের হাতে খুন চার বছর বয়সী শিশু। আট বছর আরেক বয়সী শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মশলা তৈরীর পাথরের নোড়া দিয়ে দুই শিশুকে আঘাত করার ফলেই দুই শিশুর এমন মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চার বছর বয়সী শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার করিমপুর থানার আনন্দপল্লী মধ্যপাড়ার।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রিংকিদেবী মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু কি কারণে এমন ঘটনা ঘটালেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ।
নদীয়া জেলার করিমপুর থানার অন্তর্গত আনন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা সূর্য মজুমদার। স্ত্রী রিংকি মজুমদার ছাড়াও বাড়িতে রয়েছে চার বছরের পিওন মজুমদার ও আট বছরের তোজো মজুমদার নামে দুই ছেলে।বুধবার কাজের জন্য বাইরে ছিলেন সূর্যবাবু।দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন মা। অভিযোগ, বুধবার কোনো কারণে হঠাতই উত্তেজিত হয়ে ওই দুই শিশুকে মশলা তৈরীর পাথরের নোড়া দিয়ে আচমকা হামলা করেন মা রিংকি মজুমদার।হঠাত মায়ের হাতে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দুই শিশু। তাদের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মা রিঙ্কি মজুমদার।খবর পেয়ে বাড়িতে হাজির হন বাবা সূর্য মজুমদার।দেখেন, দুই শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু দুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের পাঠানো হয় বহরমপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই চার বছরের শিশুটিকে মৃত বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে আট বছর বয়সী শিশুটি। স্থানীয়দের দাবি, রিঙ্কি মজুমদার অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন। সেই কারণে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন। বুধবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেও আজ অভিযুক্ত মাকে গ্রেপ্তার করেছে করিমপুর থানার পুলিশ।
সূর্য মজুমদার জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না। নিজের দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী। পরে লোকমুখে জানতে পারেন, দুই সন্তানকে নোড়া দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গেই বাড়িতে আসি।রক্তাক্ত দুই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ছোট ছেলেকে বাঁচাতে পারিনি।বড় ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কেন নিজের সন্তানদের সঙ্গে এমন পাশবিক ঘটনা ঘটাল রিঙ্কি, তা কিছুতেই বুঝতে পারছি না।
prime minister প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা