border হবিবপুরের ভারত-বাংলা সীমান্তে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব

in Habibpur border

border ডিজিটাল বেঙ্গল, মালদা,২২ মে: জমিজট। আর তাতেই বিস্তীর্ণ সীমান্ত এখনো উন্মুক্ত।কালিয়াচক ৩ ব্লকের শুকদেবপুর, হবিবপুরের মতো একাধিক এলাকায় খোলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে। কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় চাষিদের জমির ফস্ল।প্রতিবাদ করলে জুটছে মারধর। আর এনিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে চাপানউতোর।

মালদার কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের সুকদেবপুরের পর এবার হবিবপুর। এই ব্লকেও রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। যার বেশ কিছু অংশ এখনো অরক্ষিত। সেখানে এখনো কাঁটাতারের বেড়া বসানো যায়নি। আর এই সুযোগে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে এই এলাকার ভারতীয় কৃষকদের জমির ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বলছে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না। আমাদের প্রশ্ন, তাহলে রাজ্য সরকার দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কেন করছে না। অরক্ষিত এলাকায় কাঁটাতার না থাকায় তাদের পরিশ্রমের ফসল এভাবেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে দিনের পর দিন। শুধুই ফসল কাটা নয় যেহেতু অরক্ষিত  সীমান্ত সেহেতু গ্রামবাসীরা নিরাপত্তার অভাবও বোধ করছেন। তাদের বক্তব্য, বিএসএফ রয়েছে। তাদেরও নজর এড়িয়ে দুষ্কৃতীরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য তারা এলাকার বিধায়কের  দ্বারস্থ হয়েছেন। তারা বিধায়কের কাছে হাতজোড় করে আর্জি জানিয়েছেন, যেন তিনি রাজ্য সরকারের কাছে জমি অধিগ্রহণের জন্য আবেদন জানান। যাতে তারা নিরাপদে দিন যাপন করতে পারেন।বিষয়টি নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক চাপান উতোরও শুরু হয়েছে।তবে সমস্যা কবে মিটবে জানা নেই কারো।

হবিবপুরের বিধায়ক জয়েল মুর্মুর বক্তব্য, সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত সীমান্ত ঘিরতে চায়। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন জমির। রাজ্য সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেও জমি মেলেনি। তাই শুধু হবিবপুর নয়, মালদা জেলার একাধিক ব্লকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখনো কাঁটাতার বসানো সম্ভব হয়নি।

বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১৭২ কিলোমিটার এলাকা। এর মধ্যে প্রায় ১৮  কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত এখানে কাঁটাতার নেই।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছিলাম কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের সুকদেবপুর ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিরতা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল । ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে এলাকার কৃষকদের জমি বাংলাদেশে দুষ্কৃতীরা কেটে নিচ্ছিল। যদিও সেই এলাকার পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত রয়েছে।

prime minister প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *