Babies | অভাবের তাড়নায় একদিনের সন্তান বিক্রি বাবা মায়ের

Parents sell one-day-old babies due to poverty

বিক্রম কর্মকার, ত্রিপুরা, ৫ মে: নারীদের অধিকার নিয়ে যখন সারা বিশ্ব সরব, তখন সেই নারীর চূড়ান্ত অবমাননার ঘটনা ঘটল ত্রিপুরায়। পরিবারে চূড়ান্ত অভাব। সেই অভাবের তাড়নায় মাত্র একদিনের নবজাতক কন্যাসন্তানকে (Babies) বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ বাবা- মায়ের বিরুদ্ধে।তবে আইনি প্রক্রিয়া মেনে সন্তান হস্তান্তর না হওয়ায় ওই কন্যাসন্তানের বাবা মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অসহায় বাবা মায়ের দাবি, তাঁদের আগে থেকেই তিনটি  সন্তান রয়েছে। তাই চতুর্থ সন্তান প্রতিপালন করা সম্ভব নয়। এই কারণে খোয়াইয়ের এক ব্যক্তিকে সন্তানটি দিয়ে দিয়েছেন।সন্তান বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। তবে শিশুটির ঠাকুমার দাবি, টাকার বিনিময়ে নিজের কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে তারই বাবা-মা।৩০ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে। কিন্ত আজ সেই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাজুড়ে।

ত্রিপুরার সিমনা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি  গ্রামের বাসিন্দা অসহায় হতদরিদ্র এক ব্যক্তির স্ত্রী ৩০ এপ্রিল কাতলামারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি কন্যসন্তানের জন্ম দেন। সন্তান প্রসব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একদিনের নবজাতক কন্যাসন্তানটিকে অভাবের তাড়নায় দান করে দেন ত্রিপুরা খোয়াই জেলার এক পরিবারের হাতে। অসহায় দম্পতির দাবি,তাদের আগের তিনটি সন্তান রয়েছে। তাই চতুর্থ সন্তানটিকে লালনপালন করা সম্ভব হবে না অভাবের কারণে।কারণ পরিবারের রোজগার খুবই কম।মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তাই খোয়াই জেলার এক দম্পতির হাতে তুলে দেন তাঁরা। কিন্তু, কোনও কাগজপত্রে স্বাক্ষর ছাড়াই আইনি নিয়ম না মেনেই একদিনের কন্যাসন্তানটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।এর জন্য টাকাপয়সাও নাকি নেওয়া হয়। তবে যে হাতে নবজাতককে তুলে দেওয়া হয়েছে, সেই পরিবারের বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে দাবি করেছেন শিশুকন্যাটির বাবা।গোটা বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ওই ব্যক্তির মা ছেলের দাবি মানতে নারাজ।তিনি জানান, টাকার বিনিময়ে ছেলে ও ছেলের বৌ নিজেদের একদিনের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন।

Firing | মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই বহরমপুরে এলোপাতাড়ি গুলি, গ্রেপ্তার দুই

One thought on “Babies | অভাবের তাড়নায় একদিনের সন্তান বিক্রি বাবা মায়ের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *